পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ পরিচ্ছেদ । ミ* লালবিহারী বাবু স্ত্রীকে নিজ বাট লইয়া আইসেন না । এজন্য র্তাহার মাতা অত্যন্ত দুঃখিত ছিলেন। তিনি সৰ্ব্বদ কহিতেন “লালবিহারী, এখনও আমার চকু আছে, এই বেলা একবার বউটীকে এনে দেখাও। এর পর আন্‌বেই আনবে কিন্তু আমার চক্ষের মুখ হবে না। এতকাল খোসামোদের পর যদি বিবাহই কোলে তবে একবার দেখায়ে কেন আমার চক্ষু জুড়াও না ?” লালবিহারী বাবু এসমস্ত কথায় ভাল মন কিছুই বলিতেন না। সমবয়স্ক আত্মীয় স্বজন স্ত্রীকে আনিবার কথা কহিলে লালবিহারী বাবু কহিতেন যে তাহার স্ত্রী ও পুত্রবধু উভয়েই সমবয়স্ক, উভয়ে একস্থানে থাকিলে ঝগড়া বিবাদ হইবার সম্ভাবন । এই জন্যই তিনি নিজ স্ত্রীকে বাটতে আনেন না . - - একদা সরস্বতী পূজার বন্ধোপলক্ষে লাল বিহারী বাবু শ্বশুর বাট যাইবেন । সর্দার বস্ত্রাদি সমস্ত প্রস্তুত করিয়া রাখিয়াছে। লালবিহার বাবুর কলিকাতায় যাইবার জন্য এক প্রস্থ স্বতন্ত্র বস্ত্রাদি আছে। সে সমস্ত কলিকাতায় যাইবার সময় ভিন্ন অন্ত সময় ব্যবহার করেন না। অদ্য কাছারি হইতে বাট আসিতে অত্যন্ত দেরী হইয়া গিয়াছে রেলের গাড়ী ছড়িবার আর অধিক বিলম্ব নাই। লালবিহারী বাৰু সত্বর বেশভূষা করিয়া বাটা হইতে বাহির ° হইবেন।. প্রাঙ্গনে আসিয়াছেন এমন সময়ে র্তাহার মাতা আসিয়া পশ্চাৎ হইতে ডাকিয়া কছিলেন “বাবা কলকেতায় যাচ্চো, বউমাকে নিয়ে এসো।” লালবিহারী বাবু যার-পর-নাই বিরক্ত হইলেন। ইংরাজিতে বুৎপন্ন হইয়াও