পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/২৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তত্রিংশ পরিচ্ছেদ। ३8१ পরিগ্রামের ছ এক স্থানে এরূপ নিয়ম আছে যে যখন পুরুষ মানুষ বাট না থাকে তখন যদি কোন অপরিচিত ব্যক্তি আলিয়। কাহার অন্বেষণ করে, অথবা অন্য কোন কথার প্রশ্ন করে তখন বাটীর স্ত্রীলোকের ক্ষণকাল কথা কহে না । তাহাতে যদি আগন্তুক সে ব্যক্তি বাট নাই না বুঝিয়া পুনঃ পুনঃ অনুসন্ধান । করে তখন অগত্যা একজন স্ত্রীলোকে স্থাকিয়া বলে “ ও খোক, বল তিনি বাড়ী নাই?” অথচ থোক তাহার কোন পুরুষেও নাই কিম্বা হয়ও নাই । r ব্যারিষ্টার সাহেবের তেমনি কোন পুরুষেও মোহরের ছিল না। কিন্তু আড়ম্বর ও বাজার গরম করিবার জন্য এই রূপ বলিলেন। যাহা হউক উঠিয়া গিয়া ক্ষণকাল পরে আসিয়া বলিলেন তিন শত টাকা দিতে হইবেক । লক্ষ্মণ একশত বলিল। ব্যারিষ্টার দুই শতে নামিলেন। লক্ষ্মণ দেড় শতে উঠিল। ব্যারিঃার সম্মত হইলেন কিন্তু কহিলেন “একথা কাহাকে বলে না। তুমি নিতান্ত বিপদে পড়েছ বলে আমি , অত অল্প টাকায় যেতে স্বীকার কোরলাম।” লক্ষ্মণ। তা হলে একটা কাজ করা চাইতে, কিন্তু সে কথা আমার হুজুরের নিকট বোলতে ভয় হচ্ছে ? ব্যারিষ্টার। কিছু ভয় নাই, সচ্ছন্দে বল। লক্ষ্মণ । তবে রসিদটা তো তিনশ টাকার দিতে হবে ? বারিঃার কাল বিলম্ব না করিয়া কহিলেন "ত তো দিতেই হবে। তা যেখানে উপকার কোরতে বসেছি সেখানে সৰ্ব্বতোভাবেই করবো।” -