পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/২৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

रै68 হরিষে বিষাদ । পায়, তা হতেও এ কিঞ্চিৎ ৰচিয়েছে, কিন্তু কেবল যে ই টাকা মাত্র বঁচিয়েছে তাহ অসম্ভব। যেখানে টাকা আছে সেখানে আরও কিছু আছে তার সন্দেহ নাই।” প্রকাশে কহিল “টাকায় সকলি হয়। টাকায় বাঘের দুদ পর্য্যন্ত মেলে, কিন্তু এ দুটাকার কাজ নয়।” - মনোরমা। তবে কত চাই ? লক্ষ্মণ। দশ টাকার কমে কোন মতেই হবে না । পুনরায় মনোরমার শরীর শিহরিয়া উঠিল। মনে করিয়াছিলেন কষ্টে শ্রঃে থাকিলে তিনি যে দুটাক দিতে চাহিয়াছিলেন তাহা দু মাসে পুনরায় বাচাইতে পরিবেন। কিন্তু দশ টাকা কোথা হইত্তে দিবেন । বিশেষ নলিন বাড়ী নাই । তাহার নিকট পত্র লিখিলেও চারি দিবসের মধ্যেও জবাব আসিবে না। কি করেন ? সাত পাঁচ ভাবিয়া স্থির করিলেন এ বিপদ হইতে উদ্ধার হইরার জন্ত দশ টাকা খরচ করিলেও নলিন কিছু বলিবে না । বিশেষ নলিন জানিতও না যে কিঞ্চিৎ সঞ্চিত ধন আছে। কিন্তু এ বোয়ের গহনার টাকা। এটাকায় কখনই হাত দিবেন। ন। এই তাহার প্রতিজ্ঞ ছিল। কিন্তু কি করেন। উপায়ান্তর মা দেখিয়া কহিলেন “লক্ষ্মণ দশ টাকার কমে হবে না ?” লক্ষ্মণ। কোন মতেই না। - তখন মনোরম তথা হইতে উঠিয়া গিয়া কুটীয়ের অভ্যন্তর হইতে কঁাদিতে কঁাদিতে দশটী টাকা আনিয়া লক্ষ্মণের হাতে দিলেন। লক্ষ্মণ পাষাণ হৃদয় হইয়াও সে দশটা টাকা লইতে পারিব না। টাকাগুলি পুনরায় মনোরমার হস্তে দিয়া কহিল