পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

९ॐ হরিষে বিষাদ । লালবিহারী বাবুর কুসংস্কার দূরীভূত হয় নাই। পশ্চাৎ হইতে ডাকায় যে বাধা পড়িল লালবিহারী বাবুর মনে তাহাতে অত্যন্ত অমুখ উপস্থিত হইল। বাস্ত হইয়া যাইতেছিলেন মাতার ডাক শুনিয়া অমনি থামিলেন এবং ফিরিয়া চাহিয়া আরক্ত নয়নে এইমাত্র কহিলেন “কি বোলবো যে তুমি ম৷ ” এই কথা কহিয়া পুনরায় গৃহ মধ্যে প্রবেশ করিলেন। এবং কলিকাতায় যাইবার জন্য যে বস্ত্রাদি পরিধান করিয়াছিলেন তৎসমুদয় খুলিয়া ফেলিলেন। অমনি বাটীর মধ্যে সমস্ত নিঃশব্দ হইয়া গেল। বাহিরে বগী প্রস্তুত। সমভিব্যাহারে যে চাকর যাইবে সে প্রস্তুত কিন্তু বাৰু যাইবেন কি না এখন একথা কাহারও জিজ্ঞাসা করিবার সাহস হইতেছে না। লালবিহারী বাবুর মাত আস্তে আস্তে অগ্রসর হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন “কি বাবা, রাগ কল্পে ? গায়ের জামা খুলে ফেল্পে কেন ? কলকাতায় যাবে না !” . . লালবিহারী বাবু রাগতভাবে উত্তর করিলেন “যাও, যাও ওদিগে যাও। আমার কাছে থেকে না। বুড়ো হয়ে একেবারে পাগল হয়ে গিয়েছ ?” “বাব আমি বুড় মানুষ, আমি কখন কি বলি ঠিক নাই। আমি এক রকম পাগল হয়েছি। আমার কথায় রাগ কোরতে, আছে ? মায়ে ডাকলে বাধা হয় না। তুমি এত পড়া শুনে কোরেছ বাবা, তোমারে কি আমি বোঝাতে পারি ? তুমি আমার পেটে জন্মেছ বটে, কিন্তু জ্ঞান বুদ্ধি তোমার যত অত কি আমার আছে ? কলিকাতায় যাবে, সচ্ছদে এস গিয়ে।