পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/২৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ર(t૭ হরিষে বিষাদ। মঙ্গল । আপনার সঙ্গে যাব এ আর বড় কথা কি ? যদি সমুদ্রে ঝাপ দিলে আপনার উপকার হয় আমি তাও কোত্ত্বে পারি। মঙ্গলের কথা শুনিয়া মনোরমা অত্যন্ত সন্তুষ্ট হইলেন। অনস্তর দিবা অবসান হইলে নিজের সন্ধ্যাত্নিক সম্পন্ন করিয়া মনোরম মঙ্গলের নিকট গেলেন। মঙ্গল কহিল “ এত সকালে যাবার দরকার নাই । ভটচাজি মশায় এতক্ষণ রায় মহাশয়দের বাড়ী গিয়েছেন।” মনোরমা। আমি সেই জন্তেই এত শিগগির যেতে চাই। তা হলে গিণীর সঙ্গে দুকথা কৈতে পারবো । মঙ্গল অমনি চাদরখানি স্কন্ধে ফেলিল। মনোরম আগে আগে চলিলেন। মঙ্গল একখানি লাঠি হাতে করিয়া তাহার পশ্চাৎ পশ্চাৎ যাইতে লাগিল। ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয়ের বাট পৌঁছিয়া মনোরম দেখিলেন র্তাহার স্ত্রী একটী বালক ক্রোড়ে লইয়া তাহাকে নিদ্রিত করিবার জন্য চেষ্টা করিতেছেন। মনোরমাকে দেখিতে পাইয়া তিনি জিজ্ঞাসিলেন “রাত্রে কি মনে করে মা ?” - মনোরম সমস্ত বৃত্তান্ত র্তাহাকে অবগত করাইলেন, কহিলেন যদি ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় এ বিপদ হইতে,ৰ্তাহাকে উদ্ধার না করেন তবে কাহার করিবার ক্ষমতা নাই। বিশেষ লক্ষ্মণ র্তাহাকে একথা কহিয়াছে, আর লক্ষ্মণ বুদ্ধিমান একথা সকলেই জানে, অতএব সে যাহা বলিয়াছে তাহাতে সন্দেহ নাই। ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয়ের গৃহিণী কহিলেন “তা এর জন্ত তুমি এত কষ্ট কোরে এলে কেন ? একজন লোক পাঠিয়ে দিলেই তো হ’ত ”