পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/২৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

રd's হরিষে বিষাদ । করিতেছেন, এই ভাবিয়া কহিলেন “আর তোমার গদি কোতে হবে না, বুড়ো হলে তবু ঠাট টুকু বজায় আছে।” এবার গৃহিণী ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয়ের কর্ণে নিজ অধরোষ্ঠ সংলগ্ন করিয়া ফি ফিস্ করিয়া কহিলেন ও “ ঘরে অপর লোক আছে।” গুনিয়া ভট্টাচাৰ্য মহাশয় শিহরিয়া উঠিলেন। মনোরমাও অন্ন আনিবার আজ্ঞ গুনিয়া শিহরিয়া উঠিলেন। ভাবিলেন কলিকালে যে দেবতারা নিদ্রিত তাহার কারণই এই। একটু বিলম্বে ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় নিজদোষ ঢাকিবার জন্ত একটু উচ্চৈঃস্বরে কহিলেন “বলি ছেলেটাকে চারটি ভাত এনে দেবে না ?” ঠিক এই সময় ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয়ের দাসী ক্ষেমা আসিয়া উপস্থিত হওয়ায় ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় তাহাকে কছিলেন “ও ক্ষেমা ছেলেটার জন্য একখানা যায়গা করে দেনা ?” ক্ষেমা ইহার পূর্বের বৃত্তান্ত কিছু জানিত না স্বতরাং অমনি গালে হাত দিয়া বড় বড় করিয়া কহিল "ওম, সে আবার কি ? ও যে চার মাস উত্তরে পাঁচ মাসে পড়ে নি? ও কেমন করে ভাত থাবে ? তোমার যায়গা করে দিচ্ছি। এই মাছের ঝোলটুকু হলেই হয়।” - ক্ষেমার কথা শুনিস্থ ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় যে ফাপরে পড়িলেন তাহা বর্ণনাতীত। ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয়ের স্ত্রী সমস্ত কথা ঢাকিবার জন্য কহিলেন " শুনতে পাচ্ছি রায়মহাশয়েরা নাকি মনোরমাকে স্বাক্ষী মেনেছেন । সে মেটাে কেঁদে কেঁদে খুন হয়ে এখানে এসেছে, ঐ পাশের ঘরে আছে। বোল্‌ছে তুমি যদি দয়া কর তাহলে তার সাক্ষী দিতে হয় না আর লক্ষ্মণ তাকে এইরূপ বলে দিয়েছে এবং তাহারি কথায় সে এখানে এসেছে। ।