পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/২৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একচত্ত্বারিংশ পরিচ্ছেদ । ২৬৯ যাহার সহিত দেখা হয় সেই জিজ্ঞাসা করে “নলিন এখানে কি মনে করে ? এখন তো কলেজ বন্ধ হবার সময় নয়?” নলিন সকলেরই সহিত যথা বিহিত আলাপ করিল। কিয়ৎক্ষণ পরে লালবিহারী বাবু আসিয়া আসন পরিগ্রহ করিলেন। ঠিক এই সময় নলিন দেখিল দূর হইতে একথান পান্ধী আসিতেছে। পান্ধী নিকটে আসিলে নলিন দৌড়িয়া গিয়া দেখিলেন বেহারার র্তাহীদের গ্রামের। তাহাদিগকে জিজ্ঞাসা করায় তাহারা কহিল পান্ধীর অভ্যন্তরে তাহারি ভগ্নী মনোরম। তখনি নলিনের আদেশ মত বেহারারা পান্ধীথানি লইয়া যেখানে লোক জনের ভিড়ুনাই এমন এক বৃক্ষমূলে রাখিয়া দিল। এদিকে রায় মহাশয় ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় এবং অন্যান্ত সাক্ষীগণ সমভিব্যাহারে আর এক অশ্বখ মূলে বসিয়া আছেন। ব্যারিঞ্জর গোষ সাহেব নিকটবৰ্ত্তী ডাক বাংলায় যথাবিহিত বস্ত্র পরিধান করিয়া বসিয়া আছেন, মক্কেলের লোক আসিয়া ডাকিলেই আদালতে উপস্থিত হইবেন। - - . নলিন পূর্বের বঙ্গবন্ত অনুসারে লালবিহার বাবুর আর দালিকে কহিল “একবার ডিপুটী বাবুকে বল আমার ভগ্নী আসিয়াছেন।” আরদালি গিয়া লালবিহার বাবুর কাণে কাণে গিয়া সমাচার দিল । লালবিহারী বাবু সৰ্ব্বাগ্রের যে সমস্ত অবশ্য কর্তব্য কৰ্ম্ম ছিল সে গুলি সমাধা করিয়া মহারাণী বাদী ও নকড়ী প্রতিবাদির মোকৰ্দমা ডাকিলেন। অমনি একজন লোক গোষ সাহেব ব্যারিষ্টরের নিকট খবর দিল। খবর পাইয়াগোষ সাহেবের গা টা একটু কঁপিয়া উঠিল। কিন্তু অবিলম্বে কাছারি