পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/২৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিচারিংশ পরিচ্ছেদ । २१e হইতে সস্তৃষ্ণ নয়নে মনোরমাকে দেখিতে লাগিলেন। কাছারিতে মুহূৰ্ত্ত মাত্র মনোরমার মুখ দেখিয়াছিলেন তাহাতে তিনি আশ্চৰ্য্য হইয়াছিলেন, আর তখনকার মুখ লজ্জা ও ভয় প্রযুক্ত স্বাভাবিক ছিল না। এক্ষণে মনোরমার স্বাভাবিক মুখ দেখিয় তাহার মন মোহিত হইল। পূৰ্ব্বে প্রতিহিংসা সাধনের জন্য যাহা মনে করিয়াছিলেন, এক্ষণে সে ভাব ঘুচিয়া গিয়া আর এক ভাব হইল ভাল বাসার ভাব-কিন্তু ফল উভয়েরি এক । এইরূপ ক্ষণকাল মনোরমাকে দেখিয়া লালবিহারী বাবু পূৰ্ববং পদধ্বনি করতঃ উঠতে আরম্ভ করিলেন। উপর্যাপরি তিন দিবস মনোরমাকে দেখিলেও লালবিহারী বাবুর নয়ন মন পরিতৃপ্ত হইত না কিন্তু পাছে কেহ দেখিয়া ফেলে এই ভয়ে মিনিট কয়েকের পরেই পদধ্বনি করিয়া উঠিতে লাগিলেন। তাহার পদধ্বনি শুনিয়াই বিধুমুখী মনোরমাকে অপর এক কুটুীতে বাইতে বলিয়া নিজে আপনার গৃহেতে চলিয়া গেলেন। বিধুমুখী লালবিহারী বাবুকে দেখিবামাত্র কহিলেন “ আমার .মানটা যে বজায় রেখেছ, এতে আমি বড় খুশি হয়েছি।” “সে কেমন ? কি মান বজায় রাখলাম " লালবিহারী বাৰু জিজ্ঞাসা করিলেন। - বিধুমুখী। বজায় রাখলে না ? এই মনোরমার সাক্ষীটা আগে নিলে । । . . লালবিহারী বাৰু জিজ্ঞাসিলেন “ মনোরম কি আমাদের বাটতে এসেছে ?” তিনি যেন তার কিছুই জানেন না। বিধুমুখী। তাকি তুমি জান না ? কেন সকাল । ই