পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/২৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&b"。 झब्रिtश विशांप्त } সকলেই মুয়ুপ্ত। দেখিয়া তাহার আর অধরে হাসি ধরে না। মনে করিলেন এই রবেই “ভেকে ভুলইয়া ভৃঙ্গ পর মধু খাইবে।” তিনি চেষ্টা করিলেই যে কৃতকাৰ্য্য হইবেন তাহার আর সন্দেহ রহিল না । অতঃপর তিনি নিঃশব্দে নিম্নতলে আসিতেছেন, পাছে পদধ্বনিতে বিধুমুখী জাগিয়া উঠেন। মনোরমাও সেই সময়ে রন্ধনগৃহ হইতে উপরে যাইতেছেন। লালবিহারী বাবুর পদধ্বনি শুনিতে পান নাই। হঠাৎ মনোরম যে প্রদীপ হস্তে করিয়া আসিতেছিলেন তাহার আলোকে একজন পুরুষ মানুষের আকার তাহার দৃষ্টিগোচর হইল। তখন জানিতে পারেন নাই যে লালবিহারী বাবু বহিঃর্বাট হইতে অন্তঃপুরে আসিয়াছিলেন। সুতরাং চোর মনে করিয়া মনোরম শিহরিয়া চীংকার করিয়া উঠিলেন। তখন লালবিহারী বাবু কহিলেন “ আমি, আমাকে দেখে চীৎকার করবার দরকার নাই। বাটীর সকলেই ঘুমিয়েছে, এই বলিয়া মনোরমার হস্ত ধারণ করিলেন। সৰ্প স্বেরূপ দংশন করিয়া লেজদ্বারা দংশিত ব্যক্তির হস্ত পদাদি জড়াইয়া ধরে মনোরমারও লালবিহারী তাহার হস্ত ধারায় সেইরূপ বোধ হইল। তিনি চীৎকারের উপর চীৎকার করিতে লাগিলেন। বিধুমুখীর নিদ্র ভঙ্গ হইল। তিনি “কি হয়েছে, কি হয়েছে” বলিয়া একটী আলো লইয়া সিড়িতে আইলেন। মনোরম অজ্ঞান হইয়া পড়িয়াছেন দেখিয়া নিজ স্বামীকে জিজ্ঞাসা করিলেন “কি হয়েছে ?” । লালবিহারী বাৰু কহিলেন “আমি আর কিছুই জানিনা। অনেক স্থাত্রি হয়েছে, অথচ রন্ধনাদি হয় নাই এই জন্য আমি