পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/২৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্রিচারিংশ পরিচ্ছেদ । २y७ তোমার নিকট গিয়েছিলাম, দেখলাম তুমি নিদ্রা যাচ্চ। আমি তোমার পাশে শয়ন করে ছিলাম। পরে এই শব্দ শুনে, তোমাকে জাগাবার অবকাশ না পেয়ে দৌড়ে এসেছি। তুমি এসেছ ভাল হয়েছে, একটু জল এনে মুখে দাও।” বিধুমুখী দাসীকে জল আনিতে বলিলেন এবং নিজ স্বামীকে কহিলেন “তুমি ঘরে যাও, ছেলে পিলে দেখ গিয়ে, আমি মনোরমাকে নিয়ে যাচ্ছি।” লালবিহারী কম্পিত কলেবরে গৃহে গমন করিলেন। ভাবিতে লাগিলেন যদি মনোরম সমস্ত কথা প্রকাশ করিয়া ফেলে তাহা হইলে তাহার গলায় ছুরি ভিন্ন আর কোন উপায় নাই । মুখে জল দিতে দিতে মনোরম চৈতন্য লাভ করিলেন। তখন বিধুমুখী সমস্ত বৃত্তান্ত জিজ্ঞাসা করিলেন। পাছে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ বিষম্বাদ হয় এজন্য মনোরম আর কিছু না বলিয়া এইমাত্র কহিলেন, তিনি উপরে যাইতে ছিলেন প্রদীপের ছায়ায় বোধ হইল যেন একজন পুরুষ মানুষ নামিতেছে, এবং যেন হস্ত প্রসারণ পূৰ্ব্বক তাহাকে ধরিবার উপক্রম করিতেছে। তাহাতেই তিনি চীৎকার করিয়া বেছস হইয়াছিলেন। বিধুমুখী তাহাকে অনেক সান্থনা করিয়া তাহার নিজ গৃহে লইয়া গেলেন এবং অনেক কষ্ট্রে তাহাকে নিদ্রিত করিয়া, স্বামীর আহারাদি দিয়া নিজে শয়ন করিলেন। * . লালবিহারী বাবুর অন্তঃকরণ ধৰ্ব্ব ধৰ্ব্ব করিতেছে। মনোরম না জানি কি বলিয়াছে। আহারের দ্রব্য পড়িয়া রহিল। একটু চুদ খাইয়া শয়ন করিলেন। অনেকক্ষণ পরে বিধুমুখী গৃহে