পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ পরিচ্ছেদ। છે. ઉ. শুালক কহিলেন “রাত্রে তোমাকে আর কে চিন্তে আসবে ? আমরা সকলেই ধুতি পরে যাচ্ছি তুমি তার মধ্যে একটা সং সেজে নাই বা গেলে ? লোকে ধেটের দায়েই সং সাজে। আমি যখন বেরুই তখন সং সাজি। ইচ্ছা করে সং সাজা আমার কাজ নয়। তুমি যদি সং সাজতে এতই ভাল বাস, তবে চল ঐ কাপড়েই চল ।” - লালবিহার বাবু কহিলেন “তুমি বোঝ না ভাই যেখানে ভীড় হবার সম্ভাবনা সেখানে এই পোশাকই ভাল। ধুতি পরে গেলে কেউ খাতির করে না । “থাক্ থক্ আর সে কথায় কাজ নাই, চল তোমার যেমন অভিরুচি তেমনি করেই চল ; রাত হলো।” এই কথার পর সকলে গাত্ৰোখান করিলেন। লালবিহারী বাবু নিজ ভৃত্যকে ডাকিয়া কহিলেন “চল রাম সিং ।” সকলে কহিল আবার রাময়িংকে কেন ?" লালবিহারী বাবু ঈষৎ হাস্য করিয়া কহিলেন “দেখ বে এখন " অতঃপর সকলে গিয়া গাড়ীতে চড়িলেন। রাম সিং লালবিহার বাবুর কাছারির আরাগী। লালবিহারী বাবুর সহিত সৰ্ব্বক্ষণ থাকাই তাহাঙ্গু, বনবিহারী। বাবু যখন গাড়ীতে বাহির হন তখন রাক্টি পশ্চাতে উপবেশন করে, যখন পদব্রজে বাহির হন তখন তাহার পশ্চাৎ ৷ পশ্চাৎ যায় ও মাঝে মাঝে সন্মুখের লোকদিগকে সাবধান হইতে । কহে আর যখন লালবিহারী বাৰু ছড়ি হাতে করেন তখন ছাতিটা রাম সিং বহন করে, আর ছাতি হাতে করিলে রামসিং ছড়ি । wo