পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/২৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চচত্বারিংশ পরিচ্ছেদ। ২৮৯ চাম না। কিন্তু রাত্রে যে ঘটনা হইয়াছে তাহাতে আর মনোরম সে বাটতে থাকিতে পারেন না। বিধুমুখী তাহ জানিতে পারেন নাই ; পারিলে বোধ হয় আর তথার থাকিতে অনুরোধ করিতেন না । মনোরমার একাগ্রচিত্ততা দেখিয়া তিনি ডেপুটী বাবুকে অন্তঃপুরে ডাকিয়া পাঠাইলেন। ডেপুটী বাবু আসিলে * কহিলেন "মনোরম নিতান্তু বাড়ী যাবার জন্যে ব্যগ্র হয়েছে। আর হতেও পারে, এত দিন বাড়ীছেড়ে আছে, বিশেষ ওর বাড়ীতে আর কেউই নাই। আজ মনোরমাকে পাঠিয়ে দাও।” ডেপুটী বাবু মনে মনে করিলেন এভালই হইয়াছে। যদিচ কাল কোন কথা প্রকাশ করে নাই, কিন্তু আর অধিক দিন থাকিলে প্রকাশ করিবার অসম্ভাবনা কি ? স্ত্রীলোকের পেটে কথা থাকে না । এই ভাবিয়া তিনি অবিলম্বে মনোরমাকে পঠাইয়া দিতে সম্মত হইলেন। বাহিরে আসিয়া লালবিহারী বাবু পান্ধী বেহার আনিবার হুকুম দিলেন। ক্ষণকাল পরেই ছয় জন বেহার আসিল । পান্ধী লালবিহারী বাবুরই আছে। অন্তঃপুরে মনোরম ও বিধুমুখী উভয়ে কথোপকথন করিতে. ছেন। বিধুমুখী কহিলেন “দিদি, তুমি আজ যাচ্চ কিন্তু আমি ষে কেমন করে থাকবে তা বুঝতে পারছি নে। এতদিন আমার ঘর আলোময় ছিল, আজ অন্ধকার হৰে । যে দিন এসেছিলে সে দিন থেকে এত দিন কেমন আলোময় ছিল। আজ আবার যে আঁধার সেই আঁধার হবে। - মনোরম। বালাই আঁধার কেন হবে ? তবে একটা জানার খালে বা একটা পাখী পুলেও চলে গেলে কষ্ট হয়, 总愈