পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/৩০৩

অষ্টচত্বারিংশ পরিচ্ছেদ । &సిసీ লালবিহারী বাবু সামান্য লোক তাহার মতিভ্রম হইবার অসম্ভাবনা কি ? ফলতঃ গগন আসার মনোরম অত্যন্ত সস্তুষ্ট হইলেন এবং লালবিহারী বাবু যে কদাচরণ করিয়াছিলেন তাহ প্রায় বিস্তৃত হইলেন। প্রাতঃকালে শিবিক জারোহণ করিয়াছেন, বেলা আড়াই প্রহর হইল তথাপি মনোরমা বাট পৌছিতে পারিলেন না। বাট পৌঁছান দূরে থাকুক বাটার নিকটবর্তী যে সমস্ত পথ ঘাটবৃক্ষ ইত্যাদি তাহার কিছুই তাহার দৃষ্টিগোচর হইল না। সাক্ষ্য দিতে আসিবার সময় অতি সত্বরেই নিজ বাট হইতেই লালবিহারী বাবুর কার্য্যস্থলে পৌছিয়াছিলেন কিন্তু প্রত্যাগমন করিবার সময় এত দেরী হইতেছে কেন বুঝিতে পারিলেন না। শিবিকা বাহকগণ অপরিচিত। গগনের সহিত যদিও দুই এক বার কথোপকথন হইয়াছে তথাপি তাহাকে ডাকিয়া যে কোন কথা জিজ্ঞাসা করিবেন তাহাও লজ্জা ক্রমে পরিলেন না । ক্রমে অপরাহ্ল হইতে দেখিয়া মনোরমা লজ্জা ত্যাগ করিয়া গগনকে জিজ্ঞাসা করিলেন “গগন এত দেরী হচ্চে কেন ? আমি আসার সময় অতি সত্বরই এসেছিল। কিন্তু এখন বৈকাল বেলা হয়ে গেল তবুও পৌছিতে পারছি না কেন ?” লোকের চেহারা দেখিলে এমন কি নাম শুনিলেও তাহার চরিত্রের বিষয় কতক না কতক জ্ঞান উপলব্ধি হইয়া থাকে। গগন যখন প্রথমে নলিনের সহিত নলিনের বাটতে যাইতেছিল তখন মনোরম সম্বন্ধে তাহার বেরূপ মনের ভাব ছিল মনোরমাকে দেখিয়া সে সমস্তই পরিবর্তন হইয়া গিয়াছিল