পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/৩০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টচত্ত্বারিংশ পরিচ্ছেদ । \os.). উত্তর দিতে গগনের মুখ শুকাইয়া গেল, অতি কষ্টে কছিল “বেছারারা সত্বর পৌছিবে বলির সদয় রাস্ত ত্যাগ করিয়া মাঠের রাস্তায় আসিয়াছিল কিন্তু পথ ভুলিয়া গিয়া তাহাদিগের দ্বিগুণ পরিশ্রম হইয়াছে এখন যে কত দূর আছে তাহা তাহারা বলিতে পারে না। এ রাত্রে পৌছিতে পারিবে এরূপ বোধ হয় । না। সন্মুখে দেখিতেছি সোনাপুর। সোনাপুরে বাবুর বাড়ী। সেখানে একটা দাসী ভিন্ন আর কেহই নাই। আমার বিবেচনায় । আজ রাত্রে সোনাপুরে থাকা যাক কাল সকালে উঠিয়া আপনাকে পৌছিয়া দিব।” গগনের কথা শুনিয়া মনোরমার কোন সন্দেহ হইল না কিন্তু তাহার চেহারা দেখিয় তিনি অত্যন্ত ভীত হইলেন। কি করেন, কোন উপায় নাই। গগনের কথায় সম্মত হইতেই হইবে। পরে পান্ধী সোনাপুরে ডেপুটী বাবুর দ্বারে সংলগ্ন হইল। মনোরম পান্ধী হইতে নামিয়া বাটীর অভ্যন্তরে গমন করিলেন । গগন তাহার পশ্চাৎ পশ্চাৎ চলিল। জনস্তুর বৃদ্ধ দাসী সোনামণির সহিত আলাপ করাইয়া দিয়া সে নিজে বহিবাটী আসিল । তামাক সাজিয়া টানিতে টানিতে মনে করিতে লাগিল “এখন কি করা উচিত। নলিন তাহাকে চিরকাল ভাল বাসিয়াছে। কখন অসন্তোষের কথা কহে নাই। ব্রাহ্মণ তথাপি নলিন যে গগন অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ একথা প্রকাশ করিয়া বলে নাই। সংক্ষেপত্তঃ উভয়েরই পরস্পরের ब्राङ्डार সংস্থাপিত হইয়াছিল। মনোরমাকে যদিও একবার ভিন্ন দেখে নাই তথাপি গগন উহাকে স্বৰূপরোনাস্তি ¦|

  • a*