পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/৩১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চাশ পরিচ্ছেদ। もS) গগনের বাক্য শ্রবণ করিয়া তাহাকে বসিতে দিতে হইবে কিম্ব অন্য কোন আদর অভ্যর্থনা করিতে হইবে এ সমস্ত নলিনের মন হইতে তিরোহিত হইয়া গেল । তাহার শেষ কথা ক্রমে একটা জামা ও একখানি চাদর লইয়া এবং বে কিঞ্চিৎ অর্থ নিকটে ছিল তাহ পকেটে ফেলিয়া বাট হইতে গগনের সহিত নিষ্ক্রান্ত হইল। লালবিহারী বাৰু বেশ ভূষায় বিভূষিত এবং জাতর গোলাপে গন্ধীভূত হইয় যে ট্রেনে নলিন ও গগন যাইহ্িেছল সেই ট্রেনের একখানি দ্বিতীয় শ্রেণীর গাড়ীতে আরোহণ করিলেন। পূর্কে খবর পাঠাই দিয়াছেন সোনাপুর হইতে তাহার গাড়ী যেন ষ্ট্রেসনে আসিয়া উপস্থিত থাকে । মনে মধ্যে র্তাহার বে কত রকম ভাব উদিত হইতে লাগিল তাহা বলা অসাধ্য । বহু দিবস পর্য্যন্ত আশা ছিল যে মুখ সম্ভোগ করিবেন তাহার চেহারা দেখিয়া সেরূপ সম্ভাবনার কিছু মাত্র বোধ হইল না । মুখ স্নান ও চক্ষু প্রতিভা শূন্য। স্থানান্তরে বলিয়াছি লোকের মুখ হৃদয়ের N দপন স্বরূপ। মনে যখন যে ভাবের উদয় হয় মুখে সেইরূপ ভাবের চিন্তু প্রকাশ পাওয়া যায় । অদ্য লালবিহারী বাবু ধে কাৰ্য্যে যাইতেছেন তাহার মুখ দেখিয় তাহার কিছুই বোধ হইল না। তাহার নিজের অন্তঃকরণও ভাল ছিল না। মৃত্যু আসন্ন ইলে লোকে মন্দ কাৰ্য্যে প্রবৃত্ত হইয়া থাকে, লালবিহারী বাবুর ও তাহাই ঘটয়াছিল। তাহার শ্যামনগর সৈনে নামিবার কথা