পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/৩১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চাশ পরিচ্ছেদ। - סילסי তাহাকে ছাড়িয়া দিল না। বিনা সোনামণির আদেশে কাহারও সে গৃহ হইতে বাহির হইবার যে নাই। মনোরম যখন শুনিলেন যে লালবিহারী বাবু অদ্যই আসিবেন এবং তাহাকে আনিবার জন্য ষ্ট্রেশনে গাড়ী রওনা হইয়াছে তখন র্তাহার মনের ভাব যে কি হইল তাহ অনুভূত হইতে পারে কিন্তু বর্ণনা করা যাইতে পারে না। কিন্তু তিনি পিঞ্জরবদ্ধপক্ষী, কি করিবেন ? তাহার যাহা সাধ্য ছিল তাহা তিনি ভাবিয়া স্থির করিয়া রাখিলেন । গাভিশালা হইতে একগাছি দড়ি আনিয়া লুকাইয়া রাখিলেন। মনে মনে স্থির করিলেন বিপদ উপস্থিত হইলে জীবন যায় সেও ভাল উদ্বন্ধনে প্রাণত্যাগ করবেন তাহাও সহস্ৰগুণে উত্তম তথাপি জীবন থাকিতে অপমানিত হইবেন না । এইরূপ সংকল্প করিয়া বসিয়া আছেন এমন সময় দূর হইতে গাড়ীর ঘর্ঘর শা তাহার কর্ণকুহরে প্রবিষ্ট হইল। সোনাপুর পল্লিগ্রাম। সেখানে আর কাহারও গাড়ী নাই । সুতরাং গাড়ীর শব্দ শুনিয়াই বুঝিতে পারিলেন যে সে লালবিহারী বাবুর গাড়ী । এবং সেই গাড়ীতে বাবু স্বয়ং আসিতেছেন । মুহূৰ্ত্ত মধ্যে গাড়ী স্বারে সংলগ্ন হইল । সোনামণি প্রভৃতি দাস দাসীরা বাবুকে অভ্যর্থনা করিবার জন্য দ্বারদেশে আগমন করিল । মনোরম। ভাবিলেন আর উপায়ান্তর নাই তখন সেই গাভিরঙ্গু গলদেশে সংলগ্ন করিয়া দিয়া প্রাণত্যাগ করিলেন । , . . . নলিন ও গগন যতক্ষণ রেলওয়ে ছিল ততক্ষণ পরস্পর ৰেহ কাহারও সহিত কথোপকথন করে নাই । নানাৰিং আশা উভয়েই মৃতবৎ হইয়াছিল। পরে যখন ষ্ট্রেশন জাসিা লাল ՀԳ