পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/৩১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७s8 शब्रिहरु विशंश । বিহারী বাবুর মৃতদেহ অবলোকন করিল তখন উভয়েই শিহরিয়া উঠিয়ছিল বটে-কিন্তু দুঃখ না হইয় এ ঘটনায় উভয়েরই চিন্তু হৰ্ষোৎফুল্ল হইয়াছিল। মনোরমার উদ্ধার হইবে ইহা অপেক্ষা আর তাহদের পক্ষে অধিক আহ্নাদের বিষয় কি হইতে পারে। গাড়ী যখন লালবিহারী বাবুর দ্বারে সংলগ্ন হইল নলিন উদ্ধ শ্বাসে দৌড়িয়া বাটীর মধ্যে প্রবেশে করিতে ছিলেন। সোনামণি দুই হস্ত প্রসারণ পূৰ্ব্বক দ্বার অবরোধ করিয়া দাড়াইয়া ছিল, নলিন তাহ না মানিয়া এক ধাক্কা দিয়া সোনামণিকে তফাৎ করিয়া দৌড়িয়া গৃহাভ্যন্তরে প্রবেশ করিল। কিন্তু কি দেখিল ? মনোরমার জীবন শূন্য দেহ ঝুলিতেছে। লালবিহারী বাবুকে মৃত দেখিয় তাহার যেরূপ আল্লাদ হইয়াছিল মনোরমার মৃত দেহ দেখিয়া নলিন সেইরূপ বিষাদিত হইল। উচ্চৈঃস্বরে ক্ৰন্দন করিয়া কহিল “দিদি ! তোমাকে যে এ অবস্থায় দেখিতে হইবে ইহা আমি স্বপ্নেও ভাবি নাই। আমি তোমার বয়সে ছোট কিন্তু তুমি চিরকাল আমাকে দাদা বলিয়া ডাকিতে। আমার একটু কষ্ট হইলে তোমার হৃদয়ে সে কষ্ট সহস্র গুণ অধিক রোধ হইত। এখন তুমি সে দাদাকে ফেলিয়া কোথায় চলিয়া গেলে। একবার চক্ষু খুলিয়া চাও, একবার দাদা বলিয়া ডাক, তাহা হইলে আমি যে পরিশ্রম করিয়াছি তাহ আর পরিশ্রম বলিয়া বোধ হইবে না। একদিনের তরেও তুমি আমাকে কৃষ্ট কথা কও নাই। আমি যখন বাহ বলিয়াছি তাহাই করিয়াছ, যাহা চাহিয়াছি তাহাই দিয়াছ। আমাকে ছোট ভায়ের মত দেখিতে ন, আমাকে সন্তানের মত দেখিতে। তোমার আজ্ঞা আমি