পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/৩১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চাশ পরিচ্ছেদ। ●ጏ¢ কখন লঙ্ঘন করি নাই। তুমি যখন যাহা বলিয়াছ আমি তাহাই করিয়াছি এখন আমাকে ছাড়িয়া কোথায় চলিয়া গেলে । কে তোমাকে আর আমার মত ষত্ব করিবে। আমি তোমাকে যেরূপ ভাল বাসিতাম এরূপ আর কে ভাল বাসিবে। তুমি আর কোথাও আর একটা নলিন পাইবে। আর কাহারো দুঃখ হইলে তোমার হৃদয় বিদীর্ণ হইবে, আর কাছারে এক বিন্দু কষ্ট হইলে তোমার হৃদয়ে শতগুণ কষ্ট বোধ হইবে। হে বিধাতা! এত দিনের পর আমি পিতা মাত ভাই ভগ্নী সমস্তই একত্রে হারাইলাম এই বলিয়া নলিন সংজ্ঞা শূন্ত হইয়া ভূতলে পতিত झुद्देश । . নকড়ীর মাত লাট সাহেবের কথা শ্রবণ মাত্র উর্দ্ধশ্বাসে জেলার সদর স্থানে আসিবার জন্ত তথা হইতে নিস্ক্রান্ত হইল। সচরাচর পদব্রজে কলিকাতা হইতে তথায় আসিতে হইলে তিন দিনের কমে আসা যায় না। কিন্তু নকড়ীর মাত যে কারণে আসিতেছে সে সহজ কারণ নহে। বেল এগারটার সময় কলিকাতা হইতে বাহির হইয়া পথে কোন স্থানে না বসিয়া বা এক বিন্দু জল মাত্রও পান না করিয়া উৰ্দ্ধশ্বাসে সমস্ত পথ দোঁড়িতে দৌড়ুিতে পর দিবস প্রাতে সূর্য্যোদয়ের পরেই আসিরী যথাস্থানে উপস্থিত হইল। সেখানে আসিয়া দেখিল দলে দলে লোকজন জেলখানার দিকে যাইতেছে। কেহ কহিতেছে আর কখনও ফালি দেখি নাই আজ নূতন দৈখিব, কেহ কহিতেছে