পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

WoS হরিষে বিষাদ । তাও পারে তথাপি লোকের মনে কেমন একটা সন্দেহ থাকিয়া যাইবে ; হয় তো মনে করিবে কতই গুরুতর দোষের কার্য্য করা হইয়াছে। লালবিহারী বাৰু এইরূপ ভাবিতে ভাবিতে চলিতেছেন, রামসিং পশ্চাৎ পশ্চাৎ আসিতেছে। সমস্ত দিবসের কঃে ও শীতে রামসিংহের অত্যন্ত ক্লেশ বোধ হইতেছে, আর চলিতে পারিতেছে না। সম্মুখে গাড়ী দেখিলেই রামসিং ভাবে এইবার বাবু গাড়ীভাড়া করিবেন কিন্তু এতাবৎ সেই ভাবনা নিস্ফল হইয়া আদিতেছে। ক্রমে উভয়ে ধৰ্ম্মতলায় উপনীত। রামসিং মনে করিল এইবার অবগুই গাড়ী হইবে। কিন্তু লালবিহারী বাবুকে ধৰ্ম্মতলাও পার হইয়া যাইবার উপক্রম দেখিয়া রামসিং কহিল “হুজুর এখানে গাড়ী না নিলে আর পাওয়া যাইবে না।” লালবিহারী বাবু এরূপ চিন্তায় মগ্ন ছিলেন যে এতক্ষণতাহার বাহাজ্ঞান ছিল না। রামসিংএর কথা শুনিয়া থামিলেন। কহিলেন এক থান গাড়ী আন । রামসিং গাড়ী আনিতে গেল, লালবিহারী বাবু ভবিষ্যং ত্যাগ করিয়া বর্তমানের ভাবনায় মগ্ন হইলেন । “এখন কোথায় যাইব, কোথায় থাকিব ? শ্বশুর বাড়ী গেলে ত মণ্ডার দলে দেক সেক করে মারবে। দেখা যাক কি হয়।” রামসিং গাড়ী আনিয়া কহিল “হুজুর উঠুন।” লালবিহার বাবুর মনে হইল রামসিং যেন ঠাট্টা করিয়া তাহাকে হুজুর সম্বোধন করিল। রামসিং ব্যাটা পৰ্য্যন্ত আমার অপমান দেখিল। এ ব্যাটা ত সবডিবিজানে গিয়াই প্রকাশ করিয়া দিবে। এর মুখ কি প্রকারে বন্ধ করি। ভদ্র লোকের কথার উপর নির্ভর করা যায়, এ দিব্যি করলেও বিশ্বাস হবে না। গাড়ীতে উঠিবার