পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

రి$ হরিষে বিষাদ । সেই কারণে, কতক রামসিংয়ের কথাক্রমে বাবু আর কিছু না বলিয়া গাড়ীতে প্রবেশ করিলেন। রাত্রি অধিক হইয়াছে রাস্তায় লোকজন নাই। গাড়য়ানু বেগে গাড়ী স্থাকাইল। লালবিহারী বাবু রাস্তার দিক দেখিতে দেখিতে চলিতেছেন। যতই গাড়ী অগ্রসর হইতে লাগিল ততই লালবিহারী বাবুর চিন্তা বৃদ্ধি হইতে লাগিল। শ্বশুর বাট গিয়া সকলের সহিত দেখা হইলে, কি বলিনে, পাড়ার লোকে শুনিয়া কি বলবে, তাহার স্ত্রা শুনিয়া কি বলিবেন ? একে তো তাহার স্ত্রী তাহাকে বাঙ্গাল বলিয়৷ ঠাটা করে, তার উপর এই বিষম ব্যাপার। ভাবিলেন রাত্রে আর কোন স্থানে থাকিতে পারিলে প্রত্যুষে কলিকাতা ত্যাগ করিয়া চলিয়া যাইবেন। এমন সময় রাস্তার বামদিকে চাহিয়া দেখিলেন “হিন্দু হষ্ট্রেল” নামক ছাত্রদিগের বাসার নিকট আসিয়াছেন। হিন্দু হষ্ট্রেলে কোন ছাত্রের সহিত আলাপ থাকিলে যে সে সেখানে থাকিতে পারে। লালবিহারী বাবুরও এক জন আলাপী ছাত্র ছিল। মনে করিলেন এই খানেই থাক যাউক । গাড়ী থামাইতে কহিলেন। গাড়য়ান গাড়ী থামাইয়া কহিল “অনেক রাত হয়েছে, শিগৃগির করে।” লালবিহারী গাড়ী হইতে নামিয়া দেখিলেন যথার্থ অনেক রাত্রি হইয়াছে। লোক জন রাস্তায় চলিতেছে না। নিকটবৰ্ত্তী হোটেলে কএকজন গোরা মাতাল হইয়া গোলমাল করিতেছে। লালবিহারী বাবু হষ্টেলের দ্বারে গিয়া দরয়ান দরয়ান বলিয়া ডাকিলেন, কিন্তু উত্তর না পাইয়া পুনরায় গাড়ীতে আসিয়া জোরে হাকাইতে কহিলেন। ভাবিলেন তাহার খালক ইত্যাদির অগ্রে যাইলে