পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম পরিচ্ছেদ । ৩৭ অমুখ হইয়াছে বলিয়া আহারাদি না করিয়া শয়ন করিবেন এবং প্রত্যুষে গাত্ৰোখান করিয়া কলিকাতা হইতে চলিয়া যাইবেন । এই অভিসন্ধি স্থির করিয়া লালবিহারী বাবু প্রফুল্লিত হইলেন, কিন্তু বহুবাজারের মোড় ঘুরিবার সময় দক্ষিণ দিক হইতে আর একখান গাড়ী আসিয়া তাহার অগ্ৰে চলিয়া গেল, লালবিহারী বাবু চমকিত হইলেন। এই কি তাহার শুালকের গাড়ী ? না, তা নয়। তাহারা বাজী পোড়ান দেখিয়া ফিরিয়া আসিবে। তাহার এত শীঘ্র কি প্রকারে আসিবে ? তিনি ধৰ্ম্মতলায় পদব্রজে আসিতে না আসিতেই যে তাহার! সমস্ত বাজী পোড়ন দেখিয়া গাড়ীতে ফিরিয়া আসিতে পারে এ তাহার হৃদয়ঙ্গম ইল না । ফলতঃ লালবিহারী বাবু এরূপ চিন্তায় মগ্ন ছিলেন যে তৎকালে তাহার সময়ের জ্ঞান ছিল না । লালবিহারী বাবু শ্বশুর বাড়ীর গলিতে প্রবেশ করিবার সময় দেখিলেন একখানা গাড়ী ঐ গলী হইতে বাহির হইয়া যাইতেছে। লালবিহারী বাবুর বুক ধক্ ধৰ্ব্ব করিতে লাগিল। গাড়ী ইস্তাব: সরে দ্বারে সংলগ্ন হইল। নামিতে ইচ্ছা নাই, অথচ না নামিলেও নয়। মনে ইতস্তত করিতেছেন এমন সময় বৈঠকখানার জানাল খুলিয়া তাহার তালক উচ্চৈস্বরে কহিল “কে ? ডেপুটী বাদর নাকি ?” - - -