পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ । \లసీ তাহাতেই বিরক্ত ধরিতে লাগিল। মুচি কাৰ্য্য করিতে গেলেন কিন্তু কিছুই যেন চক্ষে দেখিতে পান না। পৈতা প্রস্তুত করিতে গেলেন, গুণ গুলি ছিড়িয়া যাইতে লাগিল। “দূর হউক ” বলিয়া সে সমস্ত তুলিয়া রাখিয়া বাটার নিকটবৰ্ত্ত তত্ত্ববায়দিগের বাটতে গেলেন। মনোরম যখন তখন এই তাতির্কুিগের বাটতে যাইতেন। তাতির সংগতিশালী গৃহস্থ, অর্থাৎ তাহাদিগের ধার কর্জ করিতে হয় না। ক্ষেত্রে যে ধান্য পায় তাহাতেই সম্বৎসর চলে, কখন কখন কিছু উদৃত্তও হয়, সে গুলি কর্জ দেয়। জমীদারের খাজনা বাকী থাকে না, দোকানে দেন নাই। ফরস কাপড় চোপড় পরে। জমীদার মাঝে মাঝে তর্জন গর্জন করেন কিন্তু বুদ্ধি থাকায় ও কিঞ্চিৎ লেখা পড়া জানায় সে সমস্ত তর্জন গর্জনে ভয় পায় না ; এজন্য জমীদারের চক্ষের শূল। নকড়ী তাতিবাটীর কর্তা, বয়স আন্দাজ ত্রিশ বৎসর। বিবাহ হইয়াছে, কিন্তু স্ত্রীর বয়স বার তের বৎসরের অধিক নয়। নকড়ীর মাত প্রাচীনা ; বয়স আন্দাজ পঞ্চাশ বৎসরের অধিক নয়। নকড়ীর মাতার কি নাম তাহা গ্রামে কেহ জানে না, কেহ কথন জিজ্ঞাসাও করে নাই। সকলেই নকড়ীর মা বলিয়া ডাকে। এই তিন জন ভিন্ন নকড়ীর এক ভাগিনেয় নকড়ীর বাটতে থাকে। তাহার নাম মঙ্গল। মঙ্গল চন্দ্র, কি মঙ্গল কুমার, কি মঙ্গলনাথ কি আর কিছু তাহ কেহই জানে না। সকলে মঙ্গলা বলিয়া ডাকে। মঙ্গলা প্রত্যুষে গাত্ৰোখান করিয়া কৃষাণ চাকর গুলি লইয়া মাঠে যায়, বেলা দুই প্রহরের পর গৃহে ফিরিয়া আইসে। বৈকালে কাজ কৰ্ম্ম করে। নকড়ী সকাল বেলা কোন দিন