পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ। &y সকালে মাঠে থেকে ফিরে আসতে তোরে কে বোল্লে ? নকঞ্জী এখনও বাড়ী আসে নি। তোর বুঝি আর খিদে বরদস্ত হলো না ?” . মঙ্গল উত্তর করিল “তোমার নকড়ী না, এলে বুঝি আর কারুর খিদে লাগবে না। নকড়ীই মানুষ আর আমরা বুঝি গরু ? একশ বা আন কাৰকী কোরে না। নিরসন ও স্প কথা সয় না।” “তোর যত বড় মুখ তত বড় কথা। কার থাস তা টের পাস না ?” “ তা বেশ টের পাই, তোমার বকুনী, মামার মার আর আমার নিজের মিহল্লতের ভাত। মাঠের কাজ চরকা ঘোরানও না, ঠক্ ঠক্‌ কোরে তাত বোনও না, যদি একবার কোরে দেপ্ততে তবে বুঝতে পাতে। তা হলে আর তোমার ডাগর গলা থাকৃতো না।” - মঙ্গলের কথা শেষ না হইতে হইতেই মনোরম আf উপস্থিত হইয়া কহিলেন “কি নকড়ীর মা, আজ আবার কি গোলমাল কোছে ?" | নকড়ীর মা কহিল “দেখ দেখি দিদি, আমি এর উপায় কি . করি ? বেলা এক পর না হতে হতেই মঙ্গল মাঠ ঘাটের কাজ ফেলে বাড়ী এল। সমস্ত বছর মিহন্নত কোরে ধান গুলো হলে, এখন দু এক দিন একটু পরিশ্রম কোল্লেই সেগুলি ঘরে আসে। কিন্তু মঙ্গল জেদ কোরেছে যে ধান গুলো নষ্ট কোবেই কোরবে।”