পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8२ হরিষে বিষাদ । মনোরম কহিলেন “নকড়ার মা, বেলা যে গিয়েছে। তুৰি বোলছ এক পর না হতে হতেই মঙ্গল ফিরে এসেছে, কিন্তু চেয়ে দেখ দেখি বেল পর খানেকের বেশী নাই। আর মঙ্গলা তোমার ধান নষ্ট কোরবে কেন, মঙ্গলার যত্বেই তো ধান গুলি হয়েছে। ক্ষেতের কাজ তো মঙ্গল ছাড়া আর কেউ দেখে না ।” নকড়ার মা। ভাও মেনে দিদি, তুমি আর ওরে নাই দিও না। তোমরা ভালো বোলে বোলেই তো ও ছোড়াকে নষ্ট কোলে।” - মঙ্গল। দিদিমা ঠাকুরুণ ঐ কথাটা একবার আইকে বুঝিয়ে বলে । সেই চাষের গোড়া থেকে শেষ পৰ্য্যন্ত আমি সব কোরে কি এখন আমি সব নষ্ট কোরতে পারি? আমার কি তাতে দুঃখ হয় না ? আর একটা কথা বুঝিয়ে বলে যে ওর নকড়ী না এলেও বেলা হয়ে থাকে।” মনোরমার বিবাদ সম্বন্ধে আর কোন কথা কহিতে ইচ্ছা হইল না। তিনি দু এক কথা মঙ্গলের সপক্ষে বলিলেই যে মঙ্গলের কোন উপকার হইবে তাহার সম্ভাবনাও ছিল না। এজন্য বিষয়াস্তরে মকড়ীর মাতার মন ফিরাইবার জন্ত কহিলেন “নকড়ীর মা, নকড়ী আজ কোথায় গিয়েছে ?” নকড়ীর মাতা রাগতস্বরে উত্তর করিল “বিলেত সাঙ্গে গিয়েছে ?” । t মনোরম বুঝিতে পারিলেন নকড়ীর পক্ষ সমর্থন করায় নকড়ীর মাতা তাহার উপর রাগ করিয়াছে। নকড়ীর মাতাকে সস্তুষ্ট করিবার জন্ত মনোরমা নিকটে বসিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন