পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ। १७ “কৈ তোমাদের রান্না হয় নাই ?” পরে রন্ধনশালার দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করিয়া কহিলেন “এই যে রান্না হয়েছে। নকড়ীর মা, আজ কি বউ রে দেছে না কি ? বউ কেমন রানে ?” নকড়ীর মা। আর দিদি আমাকে আর ও সব কথা জিজ্ঞাসা কোরোনা। "এক ভষ্ম আর ছার, দোষ গুণ কবে কার। ওরা সকলেই ভালো, আমি কেবল মন্দ। বাইরে মঙ্গল, ভেতরে বউ, এই দুজনের জালাতেই আমার হাড়টা জলে গেল ” মনোরমা। আজ তুমি অমন হয়েছ কেন, নকড়ীর মা ? বউকে তো তুমি কখনও নিন্দে করে নি ? তোমার অতটুকু বউ, ও যে কাজ কৰ্ম্ম করে এই ওর বাহাদুরি। ওর উপর রাগ---” .# মনোরমা এতদূর বলিয়াছেন এমন সময় নকড়ী আসিয়া উপস্থিত হইল। নকড়ীর মাত কহিল "এতক্ষণ কোথায় ছিলে ? বেলা যে নেই।” মঙ্গলা। এখন কেমন আই? তোমার ছেলের বেলা বেলা নেই, আর আমার বেলা বেলা হয় নি ; এ তোমার খুব বিচার ? নকড়ীর মাতা। তুই থাম লক্ষ্মীছাড়াটা। তোর কথা আমার সয় না। পরে বউকে সম্বোধন করিয়া “ও বউ, বলি মরে আছ নাকি ? সমস্ত দিন তেতে পুড়ে এল, তেল দাও।” এই কথা শুনিয়া বউ লজ্জায় জড়সড় ও ঘোমটায় আবৃত হইয়া এক বাট তৈল-হস্তে কম্পিত-কলেবরে রন্ধনশালা হইতে নিষ্ক্রান্ত হইল। নকড় বড় লজ্জাশীল। বউকে ঘরের দ্বারে দেখিয়া অমনি “ভালো কথা মনে হয়েছে, আমি আসি” এই বলিয়া তাত