পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ । βα মেই। একটু পরেই ওপাড়ার স্বরূপ স এসে কতক smo, দিয়ে গেল। আমি বোরাম “বড় বাবু এই তো টাকা ল, এখন দিন।” তখন বড় বাৰু বোল্লেন "পাগল, এ টাকা কি দেবার যে আছে, এ যে ব্যবসার টাকা ।” আমি বোল্লাম ‘বাবু আমারও তো ব্যবসার টাকা। বিশেষ প্রায় সাত আট মাস হতে চল্লেী, সুদই প্রায় এক টাকা হলো।’ এই কথা বলায় সেখানে যারা ছিল হেসে উঠলো। বড় বাবু রাগ করে আমাকে কতকটা গাল দিলেন। বিবেচনা করে দেখ মাসিমা ঠাকুরুণ আমরা গরিব মানুষ, আমাদের যৎকিঞ্চিৎ পুজি। তাও যদি কাজের সময় না পাব তবে আমাদের উপায় কি ?” মনোরম কহিলেন “এ বড় অন্যায় কথা বটে। বাবুর ছ চার টাকার জন্যে এত ঘুরাঘুরি করেন কিন্তু রেয়েৎ জনের খাজনা বাকি থাকলে পেয়াদার উপর পেয়াদা পাঠান। পেয়াদার রোজ দিতে হয়, আর ঘটী বাট বেচে টাকা দিতে হয়। সে সময় বাবুর নিজের কথা মনে করে দেখেন না।” নকড়ী। এবার আমিও লালিস কোরবো। আর সোমবারের দিন টাকা দেবেন বোল্লেন, যদি না দেন তবে আর মিথ্য ঘুরে ঘুরি না করে একেবারে মহাকোমায় গিয়ে ছোট আদালতে •লালিস রুজু কোরবো।” মনোরমা কহিলেন “ সে যা হয় কোরা। এখন বেলা নেই চান করে এস।” নকভী উঠিয়া গেলে নকড়ার মাত কহিল দেলে দিদি, কি সোনার ছেলে আমার ? এমন সেয়ান ছেলে তবু আমার