পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ty হরিষে বিষাদ । গমন করিয়াছেন। একথা আমি জানি বলিয়াই এতক্ষণ অন্তান্ত বিষয় লিখিতেছিলাম। লালবিহারী বাৰু ভাবিলেন বৈঠকখানায় প্রথমতঃ গমন করিলেই ডেপুটী বাদর বলিয়া একটা কোলাহল উপস্থিত হইবে। চাকরেরা শুনিতে পাইবে। পরে চাকরেরা সেই কথা অন্তঃপুরে বলিবে। ক্রমে তাহার স্ত্রীর কর্ণে যাইবে। যিনি যেখানে যাহাই.করুন নিজের স্ত্রীর কাছে সকলেই মহৎ হইতে চাহে । লালবিহারী বাবুর স্ত্রী এ কথা শুনিলে তাহার মহত্ত্ব কোথায় রহিবে ? এই ভাবিয়াই লালহিী বাবু বৈঠকখানায় যান নাই । পাঠকবর্গ স্বীকার করিবেন, লালবিহারী বাবু বৈঠকখানায় না গিয়া ভালই করিয়াছেন। কিন্তু বৈঠকখানায় না যাওয়ার কথাটা গোপনে রহিয়াছে কি না সেটা বিবেচনা করা কৰ্ত্তব্য । স্ত্রীলোককে কারারুদ্ধ করিয়াই রাখুন, আর নধিন্দরের মতন ছিদ্রশূন্ত লৌহ গৃহেই রাখুন, কিন্তু অজ্ঞাত পুরুষ বাট আসিলে তাহাকে দেখিবেই দেখিবে, কোন নুতন তামাসার কথা হইলে তাহা শুনিবেই শুনিবে। লালবিহারী বাবু না আসিতে আদিতেই ষে ডেপুটী বানরের কথা ভিতরে বাহিরে প্রচারিত হইয়া গিয়াছে তাহা তিনি টের পান নাই। টের পাইলে বোধ হয় শয়নাগারে একেবারেই যাইতেন না। যাহা হউক, তাহার শুশলক চাকর দিয়া, লালবিহারী বাবুকে ডাকিয়া পঠাইলেন কিন্তু লালবিহারী বাৰু *অসুখ হইয়াছে” বলিয়া আর বৈঠকখানায় গেলেন না। ক্ষণকার পরে আহারের যাগ হইল। লালবিহার বাবুর ভালক লালবিহারী বায়ুকে জায়ার করিক্তে ডাকিলেন কিন্তু লালবিহারী