পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

€ १ ইরিধে বিষাদ । লালবিহারী বাৰু কাতরস্বরে কহিলেন “যা হবার হয়েছে। তোমার পায়ে পড়ি আমাকে আর ও কথা জিজ্ঞাসা কোরে না । আমি বাঙ্গালই হই আর যাই হই, তোমার স্বামী তো বট, তার তো ভূল নেই। আমি যে কথায় কষ্ট পাই তা কি তোমার মুখে আনা উচিত ?” Y বিধুমুখী সে যা হবার তাতে হয়ে বোয়ে গিয়েছে। কষ্ট তো চুকেই গিয়েছে ? এখন সে কথা বোলতে আর কি দোষ ? লালবিহারী। তুমি আমার কথাটা ভাল কোরে বুলে না। এমন কি কখনও কোন কথা হয় না যা স্মরণ হলে লজ্জা বোধ হয় ? তা তোমাকে আর কি ৰোলবো ? সকলই আমার অদৃষ্ঠের দোষ। যদি ভাল বাস্তে আমাকে তবে বুঝতে পাতে। আমার কষ্ট্রে তো তোমার কষ্ট হয় না ? বরঞ্চ যাতে আমার কষ্ট বাড়ে তুমি তাই কর। মহাভারত তো তুমি পড়েছ, দেখ দেখি গান্ধারী কেমন সাধ্যা স্ত্রী ? স্বামীকে কত ভাল বাস্তো ? ধৃতরাষ্ট্র অন্ধ ছিল বলে গান্ধারী চিরটা কাল চকে কাপড় বেঁধে থাকতো। স্বামী যে মুখে বঞ্চিত সে মুখ নিজেও ভোগ কোরবে না । , বিধু। তুমি কি আমারে গড়ের মাটে গিয়ে ধাক্কা খেয়ে আসতে বলে নাকি ? . লাল। মহাভারত ! তা আমি বোলছনে। আমি এইমাত্র বলি যে আমাকে ওকথাটা শুনাইও না। বিধু। তুমি যে প্রায় নীলকমলের মতন হয়ে পড়লে ? লাল। নীলকমলের মতন কেমন ?