পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

९७ হরিষে বিষাদ । গালবিহারী বাৰু মনে কৰিছিলেন রাফিকে ীি শ্রেণীর গাড়ীতে উঠিতে দেওয়ায় তাহার বিশেষ আল্লাদ ও কৃভজ্ঞতা হইয়াছে। বস্তুত সেটা ভুল। কারণ বাবুর নিকট বসায় রামসিংয়ের কথা বন্ধ, গল্প বন্ধ, গান বন্ধ, তামাক বন্ধ, সকলই বন্ধ হইয়াছে। কিন্তু যখন বাবু জিজ্ঞাসিলেন “কেমন রামসিং থার্ড কেলাসের চাইতে এ গাড়ী ভাল নয়?” রামসিং আল্লা ভাগ করিয়া কহিল “হুজুর বহুত ভাল।” বাবু। এখন কি আর থার্ড কেলাসে যেতে ইচ্ছা কোরছে ?” রাম। না হুজুর। বস্তুত রামলিংয়ের মন এরূপ হইয়াছে যে থার্ড কেলাসে যাইতে পারিলেই বাচে। এখানে একে বাবু স্বয়ং উপস্থিত, তুদ্ভিন্ন আর আর যাহারা আছে তাহারাও হয় তার বাবুর মতন নতুবা র্তাহ অপেক্ষাও বড় বড়। যে কেহ গাড়ীতে চড়ে সেই রামসিংয়ের পানে কটমট করিয়া তাকায়। রালিং লাজে ভয়ে জড়সড় হইয়া বেঞ্চের অগ্রভাগে বসিয়া আছে। লালবিহারী বাবু ঘাড় লম্বা করিয়া এক একবার রামসিংয়ে সহিত কথা কহিতে যান, অমনি আবার ঘাড় গুটাইয়া লন । শ্বশুর বাটী হইতে বাহির হইবার সময় মনে করিয়াছিলেন রেলওয়ে ঃেসনে পেছিবার অগ্রেই তাহার বক্তব্য বলবেন। কিন্তু বলিবার , প্রবেশ করিয়াই বলিবেন স্থির করিয়াছিলেন। তাহাও ঘটে নাই কারণ গাড়ীতে অনেক লোক জুটল। তখন স্থির করিলেন গাড়ীর লোক কমিয়া গেলে যখন কেবল তিনি আর রামসিং