পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

%b' হরিখে বিষাদ । কথা মুখে আনা যায় না। রামের সহিত দেখা হইলে আজ। বিলক্ষণ কথা গুনাবো প্রতিজ্ঞা করিয়া রাখ কিন্তু রাম সম্মুখে আসিলে তাহার চক্ষের রশ্মিতে তোমার প্রতিজ্ঞ বরফ গলিয়া যাইবে । আদালতে মিথ্য সাক্ষ্য দিবে বলিয়া কত লোক যাহার বিপক্ষে মিথ্যা কথা কহিবে স্থির করিয়া আসিয়াছে তাহাকে দেখিলে সে মিথ্য আর কহিতে পারে না। পাদরীর ও ব্রহ্মজ্ঞানীর যতই মনে মনে কল্পনা করিয়া আমুন, উপাসন করিবার সময় চক্ষু আপনি বুজিয়া আইসে। লোকলজ্জা ইহা অপেক্ষাও ভয়ানক। ঈশ্বরের ভয়ে কজন লোক পাপ কৰ্ম্মে বিরত থাকে ? যাহারা পাপ করে তাহার কাহাকে ডরায় ? ঈশ্বর তো সৰ্ব্বস্থানেই দেখেন, সৰ্ব্বক্ষণই দেখেন। হাটে বসিয়া যে যাহা করে তাহাও দেখেন, আলোকে ও দেখেন, অন্ধকারেও দেখেন। তবে পাপী লুকাইয়া পাপ করে কাহার ভয়ে? মে কেবল আমার ও চাহিয়া-পড়িতে ইচ্ছুক-কিন্তু অর্থব্যয় করিয়াকিনিয়া পড়িতে অনিচ্ছুক পাঠক! আপনারই। আপনাকে আমাকে লোকে যত ভয় করে নিয়ত নৃত্যগীতানুরক্ত ঈশ, যুশ, চৈতন্ত, শাক্য, মহম্মদ ইত্যাদি পরিবেষ্টিত যে হরি, তাহাকেও তত ভয় করে না । । গাড়ী ক্রমে লালবিহারী বাবুর ঃেসনে পৌঁছবার উপক্রম করিল। বেগ কম পড়িল। দূরে ক্টেসন ঘর দেখা যাইতে লাগিল। এখন না বলিলে আর বলা হইবে না। তখন লালবিহারী বাবু কহিলেন “রামসিং গুনো।” রামসিং লঙ্কগ্রীব হইয়া