পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম পরিচ্ছেদ। 업9) করিবার অধিকার নাই। সুতরাং পণ্ডিত মহাশয় কৃষ্ণবর্ণ দীর্ঘাকার বলিলেই চলিত। . ... : পণ্ডিত মহাশয় আসিলে রামহরি একজন রোগীকে তামাক সাজিতে বলিয়া কহিল “আপনি এসেছেন বেস হয়েছে। নেসানল শব্দের অর্থ কি পণ্ডিত মহাশয় ?” পণ্ডিত মহাশয় “নেসান ল, নেসানল” এইরূপ,দুই চারি বার শব্দটী উচ্চারণ করিয়া কহিলেন “দেখি, স্থানটা দেখি ; কোথায় কথাটা প্রয়োগ করেছে।” । . . রামহরি স্থান দেখাইল । পণ্ডিত মহাশয় দক্ষিণ হস্তে হুকা ধরিয়া বাম হন্তের দ্বারা মাথা চুলকাইয়া কহিলেন “আজ থাক্ কাল বোলবো ।” . . . . . . . . . রামহরি কহিল “পণ্ডিত মহাশয় একবার প্রবন্ধটা পড়ে। দেখুন। মহাশয় লাট সাহেবের মতন লোকে যদি এত অত্যাচার করে তবে আমরা দাড়াই কোথা ? আমাদের দেশের লোক মুখ তাই সব শোভা পায়। যদি আয়লগু হতো, কিম্বা কানেড হতো তা হলে এর প্রতিফল হাতে পেতেন। আমাদের চুরু দৃষ্টক্রমে আবার মামাদের দেশের বড় লোক মারা তারা ধাম ধরা। যিনি লাট সভায় সভ্য আছেন তিনি কোথায় এ সমস্ত প্রতিবাদ কোরবেন, তা না করে যা সাহেবের বোলবে তিনি যেই কথায় সাঁয় দেন, একি বরদস্ত হয় ? আমি হলে উচিত । কথা কৈতে কখন ডরাতাম না। তিনি লাট আছেন তাতে আমার ভয় কি ? আমি সে দিন যে প্রবন্ধটা লিখেছিলাম তা । দেখেছিলেন তো?” -