পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

s হরিষে বিষাদ । করিতেছে। প্রত্যুষে উঠিয়া ঘর প্রাঙ্গন সমস্ত পরষ্কার করিয়াছে, কুটারের দ্রব্যাদি সমস্ত পৰ্বিচ্ছন্ন করিয়া রাখিয়াছে এবং অন্যান্য জিনিস পাক করিয়া বসিয়া আছে, নলিন বাট আসিলে অন্ন পাক করিবে কারণ শীতকাল, অগ্রে রন্ধন করিয়া রাধিলে শীতল হইয়া যাইবে। নলিন বাট আসিয়া আহার করিলে নিজে আহার করিবে এজন্ত সমস্ত দিবস কিছু খায় নাই। নলিন প্রতিমাসে একবার শনিবারে বাট আসিবার বিদায় পায় । অদ্য তাহার আসিবার শনিবার। কিন্তু পূৰ্ব্বে কখনও বাটা আসিতে নলিনের এত রাত্রি হয় নাই। অদ্য রাত্রি অধিক হইল দেখিয়া বিধবার যার-পর-নাই উৎকণ্ঠ হইতেছিল। নলিনকে দেখিয়া বিধবার সমস্ত চিন্তা দূর হইল। জিজ্ঞাসা করিল "নলিন । আজ আসতে এত রাত হলো কেন ?” - নলিন কহিল “ দিদি আমি একটার সময়ই আসবার উদ্যোগ করেছিলাম, কিন্তু বাবুর বাড়ীর অন্যান্ত লোকে কোন মতেই আসতে দিতে চায় না। কেউ বলে আজ যেওনা অ র শনিবারে যাবে, কেউ বলে এখনও অনেক বেলা আছে এখন গিয়ে কি করবে। এই রূপে প্রায় চারিটা বেজে গেল। কি করি তারা সকলেই এত ভাল বাসে যে তাদের কথা ফেলে আসতে ইচ্ছা করে না। তাতে গগন আবার আমার বোচক দেখে বোল্পে তুমি কেমন করে এ বোচ কা নিয়ে যাবে ? বাবু বাড়ী এলৈ আমি বাবুর কাছে থেকে ছুটি নিয়ে তোমার সঙ্গে যাব।’ আমি গগনকে বারণ করলাম কিন্তু গগন শুনলে না। তার পর প্রায় সন্ধার সময় বাবু বাড়ী এলেন। তার পরও প্রায় অধঘণ্টা পরে আমরা বেরিয়েছি।