পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একাদশ পরিচ্ছেদ । شي গেলেন। রামসিং হাসিতে হালিতে গিয়া অশ্বখ তলায় শয়ন করিল। কাছারি উঠিবার সময় ডেপুটী বাবু রামসিং ও রসিক বাৰু উভয়কে ডাকিয়া বলিলেন “দেখ রামসিং তোমার গোস্তাকি হইয়াছে। তোমার একটাক জরিমান হইল। রামপিং হুকুম শুনিয়া মুখ ভার করিল। রসিক বাবু অপেক্ষাকৃত সস্তুষ্ট হইলেন। পাছে রামসিং কিছু বলে এই ভয়ে ডেপুটী বাৰু তৎক্ষণাৎ কাছারি ভঙ্গ করিলেন ও রামসিংকে কাছারির বাক্স লইয়া পশ্চাৎ পশ্চাৎ আসিতে কছিলেন। রসিক বাবু কছিলেন “একটু দেরি করুন, কতকগুলা জরুরী কাগজ আছে বাক্সতে দিতে হবে।" কিন্তু লালবিহারী বাৰু এত ভীত হইয়াছেন পাছে ঐ ক্ষণকালের মধ্যে রামসিং কিছু প্রকাশ করিয়া ফেলে ষে তৎক্ষণাৎ নিজের অসুখ হইয়াছে বলিয়া গাজোখান করিলেন। চলিয়া যাইবার সময় রসিক বাবুকে আর একটা চাপরাসি দ্বারা সে কাগজ গুলা পাঠাইয়া দিতে বলিলেন। গোলমালের মধ্য হইতে একটু দূরে গিয়াইরামলিংকে বলিলেন “তুমি দুঃখ কোর না রামসিং, তোমার জরিমানার টাকাটা আমি দেব।” রামসিংকে সন্তুষ্ট রাখাই আজ কাল বাবুর উদেশ্য। রামসিং কহিল “হুজুর মা বাপ। টাকার জন্মে কিছু হচ্ছে না, কিন্তু সাঁরবিস বয়ে একটা বদমাম থেকে যাবে। এতে আমার আখেরে খারাপ হবে।” - . ডেপুটী বাৰু ততদূর ভাবিয়া দেখেন নাই। রামসিংহের কথা শুনিয়া ক্ষণকাল চুপ করিয়া চলিয়া গিয়া কহিলেন “আচ্ছ।