পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

θν হরিষে বিষাদ । কিন্তু অন্তান্ত ভৃত্যবর্গের মনে রামসিংহের গমনে অত্যন্ত ভয়ের সঞ্চার হইল। এত কাল তাহাদিগকে কিছু করিতে হয় নাই বলিলে হয়, রামসিংহই সকল কাৰ্য্য করিয়াছে এখন হইতে সেই সমস্ত কাৰ্য্য তাহাদিগকে করিতে হইবে। কিরতুি এই ভাবে চলিয়া গেল। লালবিহার বাবুর মনে পূৰ্ব্ববং ফুৰ্ত্তি হইল। যে হাকিমত্ত ভাব কিঞ্চিৎ থৰ্ব্ব হইয়াছিল তাহ আবার পূৰ্ব্বের কলেবরে পরিণত হইল। পুনরায় রাস্তায় বাহির হইতে আরম্ভ করিলেন। এখন যে রামসিংহের কার্য্যে বাহাল হইয়াছে সে আর বাবুর নিকট যাইতে পারে না। চাকরদিগের হাসিবার বা গল্প করিবার আর জো রহিল না। উচ্চ কথাটা শুনিলেই অমনি গম্ভীর রবে তাড়া দেন। সংক্ষেপত: লালবিহারী বাবু সৰ্ব্ব বিষয়ে আবার পূর্কের ন্যায় হইলেন। একমাত্র তফাৎ এই রহিল যে অদ্যাপি শ্বশুর বাটী যাইবার নাম করেন না। পূৰ্ব্বে এক দিবসের জন্য বন্ধ হইলেই কলিকাতায় যাইতেন, কখনও বা শনিবারেও যাইতেন, কিন্তু সরস্বতী পূজার পর দুই তিন দিবসেরও বন্ধ হইয়া গিয়াছে তথাপি কলিকাতায় যাইবার উল্লেখ করেন নাই। । রামসিং চলিয়া গেলে দিন কএক পরে তাহার পরিবার পাঠাইয়া দিবার জন্ত কলিকাতায় চিটী লিখিলেন। র্তাহার গুলিক উত্তর দিলেন যে তিনি অনবকাশ বশত: নিজে গিয়া ভগ্নীকে বুখিয়া আসিতে পারেন না। অতএব লালবিহারী বাবুকে নিজে আসিয়া লইয়া যাইতে কহিলেন অথবা লইয়াঘাইবার জন্ত কোন আত্মীয়কে পাঠাইতে বলিলেন। লাল