পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

, হরিষে বিষাদ । - ه بهٔ সহিত একত্র স্নানাহার না কোরলে, তুমি তো আর আমার চাকর নও ” গগনের সহিত নলিনের খুব সদ্ভাব ছিল একথা গ্রন্থারম্ভেই বলা হইয়াছে। উভয়েই এক জনের ভৃত্য, উভয়েই একত্র থাকে, বাটীর মধ্যে উভয়েরই একরূপ থাতির। কলিকাতার আসিয়া হঠাৎ নলিনের অবস্থার পরিবর্তন দেখিয় গগনের মনে ষারপরনাই ঈর্ষ উপস্থিত হইল। এখানে নলিন যেন মনিব হইয়া উঠিল আর গগন যে চাকর সেই চাকরই রছিল। লালবিহারী বাবুর খালক আহারাদির পর কাছারি চলিয়া গেলে নলিন গগনের সহিত কথা কহিতে যায়, গগন কথা কহে না, অথবা দুই চারিবার কোন কথা জিজ্ঞাসা করিলে একবার অনিচ্ছাপূৰ্ব্বক উত্তর দেয়। নলিনের ইহাতে অত্যন্ত দুঃখ হইল । কি কারণে গগন যে এরূপ করিতেছে তাহাও নলিনের বুঝিতে বাকি রহিল না। কিন্তু নলিন ইচ্ছা পূৰ্ব্বক গগনের বড় হয় নাই। বাধ্য হইয়া তাহাকে গগনের সঙ্গ ত্যাগ করিতে হইয়াছে। গগনের , মনে মনে নলিনের উপর যৎপরোনাস্তি রাগ জন্মিল। গগন কহিল, “আচ্ছা হও, দুদিন বড় হও, এর শোধ দেশে ফিরে গিয়ে যদি না নিতে পারি তবে আমার কান কেটে দিও।” - - নলিন যে কেবল লালবিহারী বাবুর খালকের নিকট আদর পাইল, এরূপ নহে। লালবিহারী বাবুর স্ত্রী নলিনকে ডাকিয়া নানাবিধ কথা বাৰ্ত্ত জিজ্ঞাসা করিলেন। বস্তুত নলিনের নম্ন স্বভাব, মান বদন ও সুকুমার বয়স, অথচ জীবিকা নিৰ্ব্বাহ জন্য