পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হরিষে বিষাদ । دهٔ রাত্রি নিদ্রায় অতিবাহিত হইল। পরদিবস প্রাতে নলিন গগন, দাসী, বিধুমুখী ও তাহার নিজের দাসী রেলওয়ে চড়িয়া লালবিহারী বাবুর কার্যস্থানে উপস্থিত হইলেন। ত্রয়োদশ পরিচ্ছেদ। - যেমন বুনে ওল তেমনি বাঘ তেঁতুল। যমরাজ ভূলেন কিন্তু পাওনাদার ভুলে না। যে দিন, যে ঘণ্টায়, যে মুহূর্তে পাওনাদারকে আসিতে বলিবে, সেই দিন সেই ঘণ্টার, সেই মুহূর্তে সে আসিবেই আসিবে। পাঠক যদি আমার দ্যায় । চিরঞ্চণী হন তাহা হইলে এ কথার সারবত্তা অনায়াসেই বুঝিতে পরিবেন। এরূপ পাঠকের নিকট আমার অধিক আর কিছু বক্তব্য নাই। যাহার ঋণ নাই, তিনি একথা বুঝিবেন না। মাথা না থাকিলে মাথা ব্যথা কাহাকে বলে টের পাওয়া যায় না। সুতরাং এরূপ পাঠককে আমার এ সারগর্ভ কথা বুঝাইতে চেষ্টা করা পণ্ডশ্রম মাত্র। রায় মহাশয় যে সোমবারের প্রাতে নকড়ীর টাকা দিৰেন বলিয়াছিলেন নকড়ী ঠিক সেই সোমবারে প্রত্যুষে রায় মহাশয়ের বাট গিয়া উপস্থিত। রায় মহাশয় গাত্ৰোখান করিয়া নিয়মিত গুড়ক সেবনানন্তর, গাড় টা হাতে হাইয়া বহিদ্বারে আসিয়াই নকড়ীকে দেখিতে পাইলেন। আমনি রাগতস্বরে দুর্গা দুর্গ বলিয়া নকড়ীকে যথেচ্ছ তিরস্কার করিয়া