পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্রয়োদশ পরিচ্ছেদ । si আছে, তোমাকে দেখাচ্ছি।” এই বলিয়া ছকি হইতে দুজন পেয়াদাকে নকড়ীর কান ধরিতে আদেশ করিলেন। হুকুম শুনিয়া নকড়ীর মুখ রাগে উন্মাদের মুখের ন্যায় হইল। পেয়াদ সাহস করিয়া নকড়ীর নিকট অগ্রসর হইতে পারিল না । তদর্শনে বাবু নিজে জুত। হাতে করিয়া নকড়ীকে প্রার করিতে উঠলেন। উপস্থিত ব্যক্তিগণ হিতে বিপরীত ঘটবার ভরে তাহাকে হাত ধরিয়া থামাইল। বাবু বসিয়া পুনরায় নকড়কে তিরস্কার করিতে লাগিলেন । বাবুর পুরোহিত সভার উপস্থিত ছিলেন। তিনি কছিলেন “আপনি কি ক্ষেপেছেন ? ও চাষ লোক, ওর সঙ্গে কি আপনার বকবিকি শোভা পায় ? আপনি পাচ কথা বোল্পে ও যদি এক কথা বলে, তা হলেও আপনার মানের হানি। আর গালি দিয়া কাজ নাই। ওকে যে জন্য এনেছেন তাই করুন। ওর যা প্রাপ্য আছে দিয়ে দিন, ও চলে যাক।” - বাবু পুরোহিতের কথা শুনির একটু থামিলেন। কিঞ্চিং পরে একজন কৰ্ম্মচারীকে নকড়ীর হিসাব প্রস্তুত করিতে বলিলেন । কৰ্ম্মচারী দক্ষিণকর্ণ বিদ্ধ করা কতকগুলি কাগজ নাড়িয়া চড়িয়া কহিলেন নকড়ীর নিকট সাবেক হিসাবের বাবদ কিছুই পাওনা নাই। তখন বাৰু নিজের বায় হইতে পাঁচটা টাকা লইয়া নকড়ীর নিকট নিক্ষেপ করিলেন। নকড় টাকা লইয়া চলিয়া যাইবে এমন সময় বাৰু পেয়াদাদিগকে রোজ আদায় করিতে বলিয়া দিলেন। নকড়ী ফিরিয়া দাড়াইয়া কছিল “ইচ্ছে হয় আপনি সকলি নিন। আমি কিছু চাইনে। এত কালের