পাতা:হাতেম্‌ তায়ি.pdf/১২৫

হাতেম্ তায় । .سb<< কৃষ্ণসপ, কি শ্বেতসপ দেখিতে পাও, তবে এই গুটিকা মুখে রাখিও, তাহার বিষে কিছুই হইবে না । অনন্তর হাতেম্ সেই যষ্টি ও গুটিক গ্রহণ পূর্বক বিদায় লইয়। গমন করিলেন । দিবারাত্রি মাজেন্দ্রানের দিকে গমন করিতে লাগিলেন, একটি বৃহৎ নদী সম্মুখবর্তী হইলে তাহার তীরে দণ্ডায়মান হইয়া দেখিলেন, তাহার তরঙ্গের শিথর উত্থিত হইয়া অাকাশকে আক্রমণ করিয়াছে, আর তাহার শব্দ প্রান্তরকে ব্যাপিয়াছে; চতুর্দিকে দেখিলেন, যে কেহ আগমন কি প্রতিগমন করিতেছে না, কিৰূপে এ নদী হন্ত তে পার হইব এইৰূপ চিস্তা করিতেছেন, হঠাৎ জীনের যষ্টিকে স্মরণ হইলে, ত্বরায় তাহ। নদীতে ফেলিয়৷ তদারোহণে চলিলেন । যখন মধ্যস্থলে উপস্থিত হইলেন, তখন একটি কুম্ভীর প্রকাশ হইল, সে যষ্টির সহিত হাতেমৃকে টানিয়া লইয়া চলিল, হাতেম্ পরমেশ্বরের প্রতি নির্ভর করিয়া রছিলেন, ফলতঃ এক বিংশতি ক্রোশ পর্য্যন্ত নিম্নে লইয়। গেলে যখন র্তাহার পদ ভূমি সংলগ্ন হইল, তখন তিনি চক্ষুরুন্মীলন করিয়া দেখিলেন, এক বৃহৎ কুম্ভীর আছে, সে মিষ্টবাক্যে বলিল, হে হাতেম্ ! আমি আপন বিচারের জন্য তোমাকে এ স্থানে অনিয়াছি, হাতেম্বলিলেন, সে কি বিচার ? কুম্ভীর বলিল, এ আমার বাটী, কর্কট দৌরাত্ম্য করিয়া আমার নিকট হইতে লইয়াছে, তোমার উচিত যে আমার বাটী আমাকে দেওয়াও, হাতেম্ বলিলেন, তুমি কি কৰ্কট হইতে বলবান নও? সে বলিল, দেখিলেই বুঝতে পারিবে, সে মনে করিলে আপন দাড়ার দ্বার আমাকে দুই খণ্ড করিতে পারে, এক্ষণে আহারের জন্য কোনস্থানে গিয়াছে, তাহাতেই আমি তোমাকে এস্থানে অগনিয়াছি, হাতেম্ মনোমধ্যে বলিলেন হে জগদীশ্বর : আমি আপন কৰ্ম্মের