পাতা:হাতেম্‌ তায়ি.pdf/১৩২

তৃতীয় প্রশ্ন পূরণের গল্প । ১২৫ জন লোক জলের জন্য আসিয়াছিল, ঐ ব্যাঘ্ৰ তাহাদিগের মধ্যে সপ্তদশ বৎসর বয়ঃক্রম, স্বমুখ এক যুবাকে ধরিয়া তাহার উদর ও হৃদয়স্থ গ্রন্থিকে (কলিজা ) দুই খণ্ড করিয়া প্রাস্তরের দিকে প্রস্থান করিল, হাতেমৃও তাহার পশ্চাৎ পশ্চাৎ গমন করিলেন । হঠাৎ সে প্রান্তরে যাইয় একটি সুন্দরী স্ত্রী হইল, হাতেম্ মনোমধ্যে ভাবিলেন, এক্ষণে এ কি করে দেখি, তৎপরে সেই চতুর্দশ বর্ষ-বয়স্ক কামিনী অলঙ্কার পরিধান করিয়া এক তরুতলে বসিল, হাতেম্ একপাশ্বে লুক্কায়িত হইয়া দেখিতে লাগিলেন। শস্ত্রজীবী দুই ভ্রাত ধন উপাৰ্জ্জন জন্য বহির্গত হইয়া বহুদিন পর্য্যন্ত দাসত্ব কৰ্ম্ম নিৰ্ব্বাহ পূৰ্ব্বক মুদ্র হস্তগত করত গৃহে গমন করিতেছিল, হঠাৎ তাহার। উভয়ে সেই প্রান্তরে উপস্থিত হইল । সেই সুন্দরী স্ত্রী তাহাদিগের উভয়কে দেখিয়া চীৎকার পূর্বক ক্ৰন্দন করিতে লাগিল, যখন রোদন ধনি তাহাদিগের উভয়ের কণগোচর হইল, তখন জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা সেই বৃক্ষ-সন্নিধানে আসিয়া দেখিল, এক চতুদশ বর্ষ বয়স্ক সুন্দরী কামিনী রোদন করিতেছে, যুব জিজ্ঞাসা করিল, হে কমিনি ! তোমার কি হইয়াছে যে এ প্রান্তরে একাকিনী ক্ৰন্দন করিতেছ? সে বলিল, আমি অমুক গ্রামবাসির কন্যা, আমার স্বামী আমাকে আমার মাতৃ-গৃহ হইতে সঙ্গে করিয়া নিজ নিকেতনে লইয়া যাইতেছিলেন, এই প্রান্তরে হঠাৎ এক ਰਾਬਿ আমার স্বামিকে বিনাশ করিল, আমি এ প্রান্তরে একাকিনী হইয়াছি, ন। আপন বাটীর পথ জানি, না আপন স্বামীগৃহের পথ জানি, ব্যাকুল হইয়াছি, কোথায় যাই, আমার কি অবস্থা হইবে। সেই শস্ত্রজীবী বলিল, যদি কেহ তোমাকে অপেন নিকটে রাখে তবে স্বীকার কর ? সে স্ত্রী বলিল, কেন না স্বীকার