পাতা:হাতেম্‌ তায়ি.pdf/১৬৩

>など。 হাতেম্ তারি। : ক্ষণকাল পরে যখন র্তাহার চরণ ভূমিতে সংলগ্ন হইল, তখন চক্ষুরুন্মীলন করিয়া দেখিলেন যে সেই পুষ্করিণী আছে, আর যাহার শাখায় সমস্তমুণ্ড লম্বিত ছিল.সেই বৃক্ষ রহিয়াছে। যখন সেই বৃক্ষকে ছুই হস্তে ধারণ করিয়া তাহার উপরে উঠিতে ইচ্ছা করিলেন, তখন সে বৃক্ষ এমন দুলিতে লাগিল ষে যেন ভূমিতে পড়িয়া যায়, তিনি বৃক্ষ-স্কন্ধকে আলিঙ্গন করিয়া ধরিলেন, বৃক্ষ কম্পিত হইতে ক্ষান্ত হইল । হাতেম্ অগ্রে আরোহণ করিলেন, যখন বৃক্ষের মধ্যস্থলে উপস্থিত হইলেন, তখন তড়াকৃকরে একটি শব্দ হইল, বৃক্ষের মধ্যস্থল বিদারিত হইয়া হাতেমের কটিদেশ পৰ্য্যন্ত অৰ্দ্ধেক অঙ্গ আপন ভিতরে নীত করিল ; হাতেম্ অনুপায় হইয়। ভীত হওত ভাবিলেন, এ কি বিপদ উপস্থিত । একবার ইহ দিগের জন্য পুষ্করিণীর মধ্যে মগ্ন হইয়া বিপদগ্ৰস্ত হইন্নাছিলাম, এক্ষণে বৃক্ষারোহণ ইচ্ছ। করায় অৰ্দ্ধেক অঙ্গ বৃক্ষের মধ্যে নীত হইল, যত বল করিতেছি ততই ভিতরে ঘাইতেছি, ক্রমে বক্ষ-পর্য্যন্ত ভিতরে গেল, শেষ দুই চক্ষুঃ অবশিষ্ট রহিল । হাতেম পরমেশ্বরকে স্মরণ করিলেন, তৎক্ষণাৎ খাজাখেজর উপস্থিত হইয়া বলিলেন, হে যুবক : কেন তুমি আপনাকে বিপদে ফেলিতেছ? তুমি কি আপন পরমায়ু হইতে নিরাশ হইয়াছ ? সেসময়ে হাতেমের অবস্থা অন্য প্রকার হইয়ছিল, উত্তর দিলেন না । খাজাখেজর অাপন ষষ্টি দ্বারা বৃক্ষমুলে আঘাত করিলেন, বৃক্ষ মোমের ন্যায় হইল, হাতেম বহির্গত হইয়। বৃক্ষ হইতে পতিত হওত কিছুকাল পরে সুস্থ, চইলেন। খাজাখেজর জিজ্ঞাসা করিলেন, চে যুবক : ইহাদিগের সঙ্গে তোমর কি কৰ্ম্ম আছে ? হাতেম্ বলিলেন, হুে বিজ্ঞ । আমার এই ইচ্ছ। যে ইহাদিগের বৃত্তাস্ত জ্ঞাত হই । খাজাখেজর বলিলেন,