পাতা:হাতেম্‌ তায়ি.pdf/১৭৪

চতুর্থ প্রশ্ন পূরণের গল্প । ১৬৭ পরে যাদুকরের প্রস্তর সমস্ত সরাইর হাতেমকে জীবিত প্রাপ্ত হওঁত আশ্চৰ্য্যান্বিত হইয়া পুনৰ্ব্বার এমন প্রস্তর বর্ষণ করিল যে পূৰ্ব্ব অপেক্ষায় দ্বিগুণ পরিমাণে এক পৰ্ব্বত হইল । তৎপরে পুনৰ্ব্বার প্রস্তর সকল সরাইয়া দেখিল যে র্তাহার কিছুই হানি হয় নাই। এইৰূপে সাতদিন গত হইলে, আহমর নিজগৃহে গমন কালে এৰূপ বলিয়া গেল যে, এইপ্রকারে প্রতিদিন প্রস্তর বর্ষণ কর, কতদিন জীবিত থাকিবে ?. পরে যাদু-আছমর যাদুকরিতে প্রবৃত্ত হইল, হাতেম ক্ষুধাতৃষ্ণায় কাতর ছিলেন, রক্ষকগণ পরস্পরে বলিল এ গুটিকার গুণ দেখিলে, আমর হাতেম্কে অগ্নির কুপে নিঃক্ষেপ করিলাম, তথাপি দগ্ধ হইল না এবং প্রস্তরের নীচেও মরিল না। হাতেম্ বলিলেন, আমি সেই ব্যক্তিকে গুটিকা দিব, যে আমাকে সেই ঝরণায় লইয়া যাইবে, তাহার। বলিল, আমাদিগের অবশ্যক নাই, তন্মধ্যে একব্যক্তি ষে নিকটে ছিল, সে গুটিকার লোভে হাতেম্কে চক্ষুর ইঙ্গিতে জানাইল যে যখন রাত্রি হইবে, তখন তোমাকে সেই ঝরণাতে লইয়া যাইব, হাতেমূও ইঙ্গিত করিলেন । যখন অৰ্দ্ধর ত্রি গত হইল, তখন সমস্ত যাদুকরেরা নিদ্রিত হইলে যে গুটিকার লোভ করিয়াছিল, সেই যাদুকর ত্বরায় উঠিয়া হাতেমের নিকটে আগমন পূৰ্ব্বক বলিল, যদি তুমি বল, তবে তোমাকে সেই ঝরণায় উপস্থিত করিয়া দিই। হাতেম্ বলিলেন, আমার এমন শক্তি নাই যে এই প্রস্তরের নীচে হইতে বাহির হই। সে যাদুকর বলিল, আমি যাদুর বলে তোমাকে বাহির করিতেছি । পরে সে মন্ত্রপাঠ করিতে লাগিল, হঠাৎ এক কৃষ্ণবর্ণ দৈত্য প্রকাশ হইয়া হাতেমের বক্ষঃ হইতে সেই প্রস্তরকে উঠাইয়া পৃথকৃ করিয়া রাখিল । হাতেম গাত্রে থান পূৰ্ব্বক সেই