পাতা:হাতেম্‌ তায়ি.pdf/১৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ প্রশ্ন পূরণের গল্প । ১৭৫ পরে যাহার। বৃক্ষের আকার হইতে পূৰ্ব্ব আকার প্রাপ্ত হইয়াছিল, সেই সকল যাদুকর হাতেমের সঙ্গে গমন পূর্বক এক পুষ্করিণীর উপরে উপস্থিত হইয়া তথায় বিশ্রাম করিল, তাহার। জানিতে পারিল না ৰে আহমর সেই পথে গমন করিয়া পুষ্করিণীর জলে ষাছু পাঠ করিয়া গিয়াছে। সকলে সেই পুষ্করিণীর জল পান করিল, জলপান ৰরিৰামাত্র তাহাদিগের নভির নীচে হইতে ফেয়ারীর ন্যায় জল নির্গত হইতে লাগিল, হাতেম তাহ দেখিয়া আশ্চৰ্য্যান্বিত হইলেন, যদিও স্বয়ং ভৃষ্ণাযুক্ত ছিলেন, কিন্তু এই অবস্থা দেখিয়া জলপান করিলেন না, তাহাদিগকে জিজ্ঞানা করিলেন, তাহারা কিছু উত্তর না করিয়া হাতেমের মুখের দিকে চাহিয়া রহিল । হাতেম ইহার কারণ না জানিতে পারিয়৷ বলিতে লাগিলেন যে, এ অনুপায় ব্যক্তিরা আমার সঙ্গে আসিয়াছে, কিৰূপে ইহাদিগকে ত্যাগ করিয়া যাই, আর এ জলে কি আপদ ছিল ষে ইহার এমন অবস্থায় পতিত হইল। এইৰূপে সমস্ত রাত্রি গত হইয়া গেল, হাতেম তৃষ্ণাযুক্ত থাকিলেন । যখন প্রাতঃকাল হইল, তখন সকলে কুপার ন্যায় এমন স্ফীত হইল যে তাহাদিগের মুখ আর জানা গেল না। হাতে করতল মর্দন করিয়া রোদন করিতে লাগিলেন, কিন্তু তাছার মনোমধ্যে এৰূপ বোধ হইল, যে ইহারা যাদুতে ধৃত হইয়াছে, মনে মনে বলিলেন যে, এসমৃঙ্গাজমের গুণে ইহাদিগের রোগ দূর হইবে, তাহাদিগের দেহ হইতে প্রাণ বাহির হইবার বিলম্ব ছিল না, হাতেম এসমৃআজমৃ পাঠ করিয়া তাহাদিগের উপরে ফুৎকার দিতে লাগিলেন ; প্রথম ফুৎকারে তাহাদিগের দেহু হইতে ক্ষীততা দূর হইলে হাতেম্ সন্তুষ্ট হইলেন, দ্বিতীয় ফুৎকারে তাহদিগের নভির নীচে ও নাসিক হইতে নীলবর্ণ জল বাহির