পাতা:হাতেম্‌ তায়ি.pdf/২৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৬৮ হাতেম্ তায়ি । করিলে অনেক উপকার হইবে, পরে হাতেম্ তাহা ভক্ষণ করিয়৷ জগদীশ্বরকে ধন্যবাদ দিলেন, আর কহেরমান-নদীকে দেখিয়া আশ্চৰ্য্যান্বিত হইতে লাগিলেন, যেহেতু অহার জলের শব্দ আকাশপর্য্যন্ত যাইতেছিল, এবং তাহার ঢেউসকল প্রান্তরপর্য্যন্তু আক্রমণ করিতেছিল। কয়েকদিন পরে জগদীশ্বরের রূপায় ঘোটকদ্বয় নদীর তীরে উপস্থিত হইলে প্রান্তর দেখা গেল, জগদীশ্বর সেই প্রান্তরকে চুণী ও পান্নায় পরিপূর্ণ করিয়াছিলেন, হাতেম্ আহা দেখিয়া আশ্চর্য্যান্বিত হইলেন, আর তাহতে একটি পরিস্কার উদ্যান ছিল, তন্মধ্যে মরুমর মুসা ও এসমৃ প্রভৃতি প্রস্তর দ্বারা এবং , হীরক, চুণী ও পান্নাদ্বারা-নিৰ্ম্মিত বৃহৎ বৃহৎ অট্টালিকা সকল ছিল, আর জলের লহরী ও হউজের চতুর্দিকে রত্ননিৰ্ম্মিত ছিল, তা হ র তীরে রভুজড়িত সিংহাসন পতিত ছিল, হাতেম্ সেই উদ্যানের ফলভক্ষণ কম্বুিলেন এবং ছুইটি ঘোটককে ফলভোজন করাইলেন, কিন্তু তথায় কাহাকেও দেখিতে পাইলেন না। সেই স্থান পরীদিগের ছিল, হাতেম্ মেহেরওয়ারকে জিজ্ঞাসা করিলেন, হে ভাই ! আমি শুনিয়াছি বরাজখের চড়া নদীর মধ্যে আছে, এক্ষণে বল তাহ নিকটে আছে, কি দুরে আছে ? মেহেরওয়ার বলিলেন, হে হাতেম্ ! সেই চড়া অনেক দূরে অাছে, হাতেম্ কহিলেন তবে উঠ, গমন করি । পরে দুইজনে গমন করিয়া কয়েকদিন পরে একটি স্থানে উপস্থিত হইলেন। হাতে জিজ্ঞাসা করিলেন, হে ভাই ! এস্থান হইতে কতদিনের পথ পরে বসতি আছে? মেহেরওয়ার বলিলেন, আমরা যদি রাত্রিদিব গমন করি তবে দ্বাদশদিন পরে বসতিমধ্যে উপস্তিত হইব । তদনস্তর দুইজনে সেস্থান হইতে গমন