পাতা:হাতেম্‌ তায়ি.pdf/২৮৪

সপ্তমপ্রশ্নপূরণের গল্প । २११ পাইতেছে না, আর র্তাহার শবকে তত্ত্ব করা যাইতেছে, তাহাও হস্তগত হইতেছে না, জানা যাইতেছে না যে, কি হইল কোথায় গেল ! ভয়ে কেহ ইহার ভিতরেও যাইতে পারে না । এইৰূপ কথোপকথন হইতেছে, তাহার পিতামাত। চীৎকারের সহিত ক্ৰন্দন করিয়৷ সেই কুপের উপরে আসলেন, তাহাতে হাতেমের মন জ্বলিয় উঠায় তিনি সেই শোকাকুল ব্যক্তিদিগের নিকটে গমন-পূৰ্ব্বক আশ্বাস-প্রদান করিয়া বলিলেন, জগদীশ্বর, যাহা করেন ੋੜ উপায় নাই, এমন ক্ৰন্দন করায় কিছু ফল মাই, ধৈর্য্যযুক্ত হওয়া উচিত। তাহারা বলিল, হে যুবক: সত্য বলিলে, কিন্তু যদি তাহার মৃতদেহ পাই, তবে তাহাকে কবর দিই। পরে তাহার পিতা বলিলেন যখন প্রাণভয়ে কেহই কুপের মধ্যে যাইতেছে না, তখন কুপের ভিতরে যাইতে আমার নিতান্ত ইচ্ছা হইতেছে ; তথায় আপন পুত্রের অন্বেষণ করিব, যদি না পাই, তবে আমিও মরিব । হাতেম্ বলিলেন হে প্রিয় ! তুমি নিশ্চিন্তু থাক, আমি আপনাকে জগদীশ্বরের পথে নিযুক্ত করিয়াছি, এখন কুপের মধ্যে যাইয়া তোমার সন্তানের শৰ মানিতেছি, তুমি একমাস পর্যন্ত আমার অপেক্ষা করিও ; হাতেম্ এই বলিয় আপনাকে কুপমধ্যে নিক্ষেপ করিলেন, অনেক জল থাকা-প্রযুক্ত নিমগ্ন হইয় গেলেন। পরে যখন হাতেম্ ভূমিতে উপস্থিত হইলেন, তখন চক্ষুরুন্মীলন করিয়া দেখিলেন, সে কুপ ও সে জল নাই, একটি বৃহৎ প্রান্তর দেখাগেল ; পরে স্কুর্য্যের কিরণ দেখিয়া অগ্ৰে ਨਿਜ, কিছু পথ গমনের পর এক উদ্যান দেখাগেল, তিনি সেই উদ্যানের দ্বারমুক্ত দেখিয়া তাহার ভিতরে প্রবেশপুৰ্ব্বক দেখিলেন, নানাবর্ণের পুষ্পসকল প্রস্ফুটিত হইয়। সমুদায় উদ্যানকে স্বগন্ধময় করিয়াছে। হাতেম্ অগ্ৰে