পাতা:হাতেম্‌ তায়ি.pdf/৩৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

こ8* , হাতেম্ তারি।

  • ,

গমনের পরে হঠাৎ এক বৃহৎ নদী দেখা গেল, তাহার ঢেউ আকাশ পর্য্যন্ত উঠিতেছিল এবং তাছার ফেণ। অগ্নির শিখার ন্যায় দেখা যাইতেছিল। ছাতেম ভাবিলেন, অঙ্কে এ কি আশ্চৰ্য্য ব্যাপার উপস্থিত হইল ! এ মনুষ্যঘাতক-নদী হইতে কি প্রকারে পার হইব ! এইৰূপ চিন্তা করিতে লাগিলেন, যখন তাহার নিকটে উপস্থিত হইলেন, তখন দেখিলেন যে, তাই এমন ভয়ানক নদী ষে তাহার তাঁর জানা যায় না, আর তাহার শব্দ দশ ক্রোশ পর্য্যন্ত ষাইতেছিল । হস্তিম্ সেখানেও ভীত হইয়। রহিলেন, ছুইচারি ফাগু পরে তাহার মনোমধ্যে এৰূপ উদয় হইল ধে, প্রস্তরখণ্ডে কি লেখা আছে দেখি। পরে সেই প্রস্তরখণ্ডে দৃষ্টিপাত করিয়া দেখিলেন, তাহাতে লেখা আছে যে “ হে যুবক : তিনখানি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রস্তরখণ্ডের উপরে এসমৃআজম ( মহামন্ত্র ) পাঠ করিয়া তাহা নদীতে নিক্ষেপ-পূৰ্ব্বক জগদীশ্বরের মহিমা দেখ ” পরে হাতেম্ প্রস্তরখণ্ডের উপরে এসমৃআজম পাঠ করিয়া তাহ নদীর মধ্যে ফেলিলেন । যখন সেই প্রস্তর সকল নদীতে পড়িলু তখন নদী হইতে এৰূপ শব্দ বাহির হইল যে, তাহ তাবৎ আকাশকেও ব্যাপিল এবং চারি দণ্ড কাল পৰ্য্যন্ত সমস্ত প্রান্তর অন্ধকারময় হইয়া রহিল ; পরে যখন অন্ধকার দূর হইয়া গেল, তখন দেখিলেন যে, এমন একটি জলের বার্ণ ৰহিয়াছে ষে, তাহা কুকুরেও লম্ফ দিয়া পার হইতে পারে । হাতেম বলিলেন হে জগদীশ্বর ! তোমাকে ধন্যবাদ। এ ঝর্ণা গৃহের পয়ঃপ্রণালীর (নর্দমা ) ন্যায় আছে। পরে জগদীশ্বরকে প্রণাম করিয়া অগ্ৰে চলিলেন । পথিমধ্যে দেহ বিদীর্ণকারি পঞ্চাশটি হিংস্ৰক ব্যাঘ্র অগ্নির শিখর ন্যায় রক্তবর্ণ চক্ষে তর্জন গজন-পূর্বক পুচ্ছকে মস্তকে