পাতা:হাতেম্‌ তায়ি.pdf/৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

89 হাতেম্ তায়ি । দ্বিতীয়া এক পরমসুন্দরী সিংহাসনের নীচে হইতে বাহির হইয়। হাতেম্কে এমন এক পদাঘাত করিল যে তিনি সিংহাসনের নিম্নে পতিত হইয়া দেখিলেন, সে উদ্যান নাই, সে পরম সুন্দরীও নাই, কেবল এক বৃহৎ প্রান্তর দেখিতে পাইলেন, বুঝিলেন এই দস্তহবেদা, এক্ষণে সেই ব্যক্তির তত্ত্ব করা উচিত । পরে সেই প্রান্তরে ভ্রমণ করিতে করিতে হাডেমের কর্ণে এই শব্দ প্রবেশ করিল, যে “ একবার দেখিয়াছি, দ্বিতীয়বার বাঞ্ছা আছে ”। তিনি ঐ শব্দের তি কৰ্ণ অৰ্পণ করিয়া থাকিলেন, তিনবার ঐ শব্দ আসিল, তৎপরে আর কিছুহ শুনিতে না পহিয়া হ তেম্ সেই দিকে গমন করিলেন । সপ্ত দিন দিবার ত্রি সেই শব্দ শ্রবণ করিতে করতে চলিলেন, কোন ব্যক্তিকে দেখিতে ন পাইয় তা শচয্যাম্বিত হইলেন । অষ্টম দিনে শব্দানুসারে দ্রত গমনে দেখিলেন, এক জন বৃদ্ধ মনুষ্য বসিয়া আছে। হাতেম্ সেই প্রচীন মনুষ্যের সম্মুখে আসিয়া নমর করলেন, বৃদ্ধ মনুষ্যও প্রতি-নমস্কার করল এবং জিজ্ঞাসা করিল কোথা হইতে আসিয়াছ ? হাতে বললেন, একটি কৰ্ম্ম আছে, তুমি কি দেখিয়াছ যে দ্বিতীয়বার বাঞ্ছা আছে? বৃদ্ধ বলিল, উপবেশন কর, বলিব, পরে হাতে বসিলেন, শূন্য হইতে এক কুজ। জল ও ছুই খানি রোটিক বৃদ্ধের সম্মুখে আসিল, বৃদ্ধ একখানি রোটিক ও এক কুজ। জল হাতেমের সম্মুখে রাখিল এবং অপন সম্মুখে একটি রাখিয়া দুই জনে ভোজন করলেন । * ভোজন ন্তে হাতেম জিজ্ঞাসা করিলেন, হে বিজ্ঞ ! বল এ কি শব্দ ? বৃদ্ধ মনুষ্য বলিল এক দিন আমি একটি পুষ্করিণীর তীরে উপস্থিত হইয়াছিলাম, একটি দিশ্বসন নারী জল হইতে বাহিরে আসিয়া আমার হস্ত ধারণ পূর্বক জলের ভিতরে গেল! যখন আমি চক্ষুরুন্মীলন করিলাম, তখন আশ্চৰ্য্যময় এক উদ্যানে পরম