পাতা:হাতেম্‌ তায়ি.pdf/৬৪

দ্বিতীয় প্রশ্ন পূরণের গল্প । ** পুনৰ্ব্বার আবৃত করিয়া রাখিলেন, ছুই তিন দণ্ডের পরে বলিলেন, এক্ষণে এ পাত্রের আবরণ মুক্ত কর, যখন আবরণ মুক্ত করিল, তখন পাত্র কৃমিতে পরিপূর্ণ ছিল, খাদ্যের চিহ্নও ছিল না । ফরেকশ্ব তদৰ্শনে অশ্চির্য্যাম্বিত হইয়া বলিল হে বিজ্ঞ : এ কি আশ্চৰ্য্য ! সমুদয় পাত্র ষে কৃমিপূর্ণ হইয়াছে ; হাতেম্ বলিলেন হে রাজনু মন্দ দৃষ্টির কারণে এৰূপ হইয়াছে এবং তোমার পড়ারও ঐ কারণ, অতএব ষৎকালে তুমি ভোজন কর, সেই সময় অন্য কেহ না থাকে, যদি কেহ থাকে তাহীকে অগ্রে ভোজন করাইবে । ফরোকাশ বলিল ইহা যথার্থ বলিয়াছ, সেই দিবস হইতে ফরোকশ্ব গোপনে ভোজন করাতে তাঙ্কার উদরের ব্যথা দূর হইল। ছুই তিন দিন পরে যখন উত্তমৰূপে অরোগী হইল, তখন হাতেম্কে আলিঙ্গন করিয়া আপনার নিকটে সিংহাসনের উপর বসাইল । হাতেম বলিলেন, এক্ষণে তুমি অরোগী হইলে, আমার স্বজাতীয় মনুষ্যগণ যে কারাবদ্ধ আছে, তাহাদিগকে মুক্ত কর, তাহার। স্বদেশে গমন করুক, ফরোকাশ বলিল উত্তম। পরে সমস্ত মনুষ্যকে আপন নিকটে ডাকাইয়া পারিতোষিক দিল এবং খাদ্যদ্রব্য ও ফল তাহদের সম্মুখে রাখাইল, পরে তাহাদিগকে ভোজন করাইয়া পাথেয় দানে বিদায় করিয়া হাতেমের প্রতি বলিল, আমার এক নিবেদন আছে, অনেক দিন হইতে আমার কনু্যার চক্ষুঃপীড়া হইয়াছে, যদি তুমি তাহাকে একবার দেখ তবে অনেক অনুগ্রহ করা হয়। হাতেম্ বলিলেন উত্তম, ফরোকাশ্ব হস্ত ধরিয়া হাতেম্কে অন্তঃপুর মধ্যে লইয়া গেল ; হাতেম্ ঐ কন্যার দেহ হরিদ্রাবণ ও নীলবর্ণ হইয়াছে দেখিয়া বলিলেন, কিঞ্চিৎ শর্কর ও জল অানয়ন কর । পরে যখন তাহা আনিল, তখন হাতেষু সরবৎ করিয়া যে গুটিক ল্লিটে ছিল, • জ