পাতা:হারামণি - মুহম্মদ মনসুর উদ্দীন.pdf/১০

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।

৷৹

তীব্রতা ক্রমশঃই কমে আস্‌ছিল কেননা তারা এই দেশকেই আপন দেশ ক’রে নিয়েছিল, সুতরাং দেশকে ভোগ করা সম্বন্ধে আমরা পরস্পরের অংশীদার হ’য়ে উঠ্‌লুম। তা ছাড়া, সংখ্যা গণনা কর্‌লে দেখা যাবে, এদেশের অধিকাংশ মুসলমানই বংশগত জাতিতে হিন্দু, ধর্ম্মগত জাতিতে মুসলমান। সুতরাং দেশকে ভোগ কর্‌বার অধিকার উভয়েরই সমান। কিন্তু তীব্রতর বিরুদ্ধতা রয়ে গেল ধর্ম্ম নিয়ে। মুসলমান শাসনের আরম্ভকাল থেকেই ভারতের উভয় সম্প্রদায়ের মহাত্মা যাঁরা জন্মেছেন তাঁরাই আপন জীবনে ও বাক্য-প্রচারে এই বিরুদ্ধতার সমন্বয়সাধনে প্রবৃত্ত হয়েছেন। সমস্যা যতই কঠিন ততই পরমাশ্চর্য্য তাঁদের প্রকাশ। বিধাতা এম্‍‍নি ক’রেই দুরূহ পরীক্ষার ভিতর দিয়েই মানুষের ভিতরকার শ্রেষ্ঠকে উদ্ঘাটিত ক’রে আনেন। ভারতবর্ষে ধারাবাহিক ভাবেই সেই শ্রেষ্ঠের দেখা পেয়েছি, আশা করি আজও তার অবসান হয়নি। যে-সব উদার চিত্তে হিন্দু-মুসলমানের বিরুদ্ধ ধারা মিলিত হ’তে পেরেচে, সেইসব চিত্তে সেই ধর্ম্মসঙ্গমে ভারতবর্ষের যথার্থ মানস-তীর্থ স্থাপিত হয়েছে। সেইসব তীর্থ দেশের সীমায় বদ্ধ নয়, তা অন্তহীনকালে প্রতিষ্ঠিত। রামানন্দ, কবীর, দাদু, রবীদাস, নানক প্রভৃতির চরিতে এইসব তীর্থ চিরপ্রতিষ্ঠিত হ’য়ে রইল। এঁদের মধ্যে