পাতা:হারামণি - মুহম্মদ মনসুর উদ্দীন.pdf/১১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭৮
হারামণি

বলদ রলো গাভীর প্যাটে, লাঙল রলো হাটে
কিষাণের জন্ম না হতে পাহা গেল মাঠে।
‘আগ্‌নে’ গেল গড়গড়াতে সূর্য্য ম’ল দীপে
গঙ্গা ম’ল জল পিপাসায়, ব্রহ্মা ম’ল শীতে।
আমি একটা কথা শুন্যা আ’লেম ত্রিবেণীর ঘাটে
একটা ছেলে জন্ম হল তিন পোয়াতির প্যাটে।
রাজার বাড়ী চুরিরে পুষ্করিণীর পারে সিঁদ
জলের পর শয্যা পাড়্যা চোরা পাড়ে নিদ।

৬৩

জপ্‌রে তার নামের মালা হয় না যেন ভুল
গাঁথ ঐ নাম আপন গলায়।
দূরে যাবে দুঃখ জ্বালা,
অন্ধকার হবে উজালা;
এই দুনিয়ার মূল।
তুমি লা এলাহা ইল্লাল্লা[১] বল,


  1. আল্লাহ ব্যতীত উপাস্য নাই। সাধনাকালে হিন্দু গুরু যেমন শিষ্যকে বিশ্বের সর্ব্বত্র “ওঁ” ধ্যান করিতে উপদেশ দেন, পীর সাহেবেরাও তেমনই ভিতরে বাহিরে এই কলমা জপ ও ধ্যান করিতে বলেন। প্রথমেই অবশ্য এই কলমা জপ করা হয় না। প্রথম শুধু “আল্লাহ”—এই কথাটি মাত্র মনে মুখে জপ করিতে হয়। যে নিয়মে এই সব ধ্যান ধারণা করিতে হয়, তাহা অন্যের নিকট প্রকাশ নিষিদ্ধ।