পাতা:হারামণি - মুহম্মদ মনসুর উদ্দীন.pdf/১২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৮৬
হারামণি

করিবার যোগ্য। এই সব গানের রচনাকাল বাঙলায় মুসলমানগণের প্রতিপত্তির সময়কার বা তার পরবর্তী সময়কার এবং ইংরেজ আমলের পুর্ব্বেকার, তাহার কারণ ইহার ভাষা আরবী, ফারসী ও উর্দু শব্দবহুল। ইংরাজী পল্লী গাথার সহিত ইহার সাদৃশ্য আছে।

ধুয়া

এমা দয়া নাইরে তোর,
মা হয়ে কেন বেটায় সদা বলো ননী চোর।
কেষ্ট যায়, মা, বিষ্ণুপুরে, যশোদা যায় ঘাটে,
খালি গৃহ পেয়ে গোপাল সকল ননী লোটে।
“ননী খা’লো কেরে গোপাল ননী খা’লো কে?”
“অ মিত মা খাই নাই ননী বলাই খা’য়ছে,”
“বলাই যদি খাইতে ননী থুতো ‘আদা’ ‘আদা’
তুমি গোপাল খাইছে ননী ভাণ্ড করেছো সাদা।”
ছড়ি হাতে নন্দরাণী যায় গোপালের পিছে,[১]
একলম্ফে উঠলেন গোপাল কদম্বেরই গাছে।
পাতায় পাত য় ফেরেন গোপাল ডালে না দেয় পাও,
গাছের নীচে নন্দরাণী থরে কাঁপে গাও।


  1. বঙ্গবাণী (জৈষ্ঠ, ১৩৩১) ডাঃ শ্রীসুরেন্দ্র নাথ সেন মহোদয় লিখিত “মারাঠী ও বাঙ্গলী’ প্রবন্ধে যে পল্লীগাথা প্রকাশিত করিয়াছেন তাহার সহিত তুলনীয়।